আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বাজারে জমিজমার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়ার অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা নুরুল হাফিজ ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ, বাজার কমিটির অফিস ও বাজার পরির্দশন করেন। পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে বাজারের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দেন। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সুশীল সমাজ, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দসহ জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত শেখ রহমান আলীর ছেলে শেখ মহিদুল ইসলাম মধু সম্প্রতি স্থানীয় বাজারে মৃত নিকুঞ্জ রতন সরকারের ছেলে অলোক কুমার সরকারের নিকট থেকে পৌনে দু শতক জমি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কেনেন। ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে আজাদ পাবলিক লাইব্রেরির নেতৃবৃন্দ তাদের নিজস্ব সম্পদ দাবি করে বাধা প্রদান করেন। জমাজমির সীমানা নির্ধারণে উভয়পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। অভিযোগ পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন ইউনিয়নের সকল সুধীবৃন্দের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষদ্বয়কে নিয়ে আপস-মীমাংসার জন্য কয়েক দফা বৈঠকে বসেন।
সূত্র জানায়, সালিস বৈঠকে সন্তোষজনক কোনো সমাধান ও নিষ্পত্তি না ঘটায় জমির ক্রেতা ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নেন। এরই মধ্যে আজাদ পাবলিক লাইব্রেরির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক সাব্দার রহমান বাদী হয়ে বিবাদী শেখ মহিদুল ইসলাম মধুর বিরুদ্ধে জীবননগর সাব জজ আদালতে নালিশি অভিযোগ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিবাদীকে নির্মাণকাজে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার সুনির্দিষ্ট কারণ দর্শানোর জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর দফতরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেয়ার জন্য আদেশ দেন। জমি ক্রেতা এ নোটিশ পেয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মর্কতা বরাবর দলিলিক জমির দখল ও সীমানা বুঝে দেয়ার আবেদন জানান। এ অভিযোগ পেয়ে উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা বিরোধপূর্ণ জমি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মাথাভাঙ্গার এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরবর্তীতে উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য বিরোধ নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।