আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: আদালতে বিচারাধীন মামলার জমিজমাকে কেন্দ্র করে জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাঁকা গ্রামে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশষ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহতরা স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাঁকা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পাঁকা গ্রামের মৃত তোরাব আলী বিশ্বাসের ছেলে তুষার ইমরান গ্যাংদের সাথে প্রতিবেশী মোতালেব আলীর ছেলে মন্টু গ্যাংদের জমি-জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধপূর্ণ জমাজমিকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে উভয়পক্ষের মামলা আদালতে বিচারাধীন। এরই মধ্যে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে তুষার ইমরান গ্যাংরা বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়ায় প্রতিপক্ষ মন্টু গ্যাংরা বেড়া জোরপূর্বক ভেঙে উচ্ছেদ করে দেয়। বিকেলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁকা বাজারে উভয়পক্ষর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাদ প্রতিবাদের এক পর্যায়ে হামলা পাল্টা হামলায় চালিয়ে উভয়পক্ষ তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সাপ্তাহিক হাটের দিন এ সংর্ঘষের ঘটনায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাবিক্রেতারা আতষ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধারালো দা, লাঠি, লোহার রড ও হাতুড়ির আঘাতে মোতালেব আলীর ছেলে মন্টু (৩৮), আক্তার (২৫), মিন্টু (৩২) ও মনি (২২) এবং অপরপক্ষ আলতাব হোসেনের ছেলে ইসরাইল (৫২), সানোয়ার মালিতার ছেলে সাইফুল, মৃত তোরাব আলী বিশ্বাসের ছেলে জাহাঙ্গীর, তুষার ইমরান, খলিল বিশ্বাসের ছেলে তবিবুর, আবজ্জেল বিশ্বাসের ছেলে শফি, টোকন, শুকুর আলী, জাহাঙ্গীর হোসেনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৩০) ও মৃত তোরাব আলী বিশ্বাসের স্ত্রী মদিনা বেগম (৫৮) আহত হন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।