মাদকমুক্ত হওয়ার আশায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির ১২ দিনের মাথায় মৃত্যু

মাদকের ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে : নিরাময়ের নামে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা নাকি করা হচ্ছে নির্যাতন?

 

স্টাফ রিপোর্টার: মাদকের কালো থাবা থেকে রক্ষা পেতে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির ১২ দিনের মাথায় মারা গেলেন হেলাল উদ্দীন (৪১)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হেলালকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে নেয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রিন্সপ্লাজা মার্কেটের বিপরীতে দীর্ঘদিনের স্টেশনারি দোকানি হেলাল উদ্দীন বেশ কিছু দিন ধরে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সম্প্রতি মাদকমুক্ত হওয়ার জন্য মনে প্রাণে চেষ্টা করতে থাকে। মারণনেশার কবলে হাবু-ডুবু খাওয়ার এক পর্যায়ে ১২ দিন আগে তাকে জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্পের নিকটস্থ প্রত্যাশা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। গতপরশু সোমবার রাতে যেকোনো সময় তার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে কেউ কেউ মন্তব্য করলেও তার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, হৃদরোগে মারা গেছে হেলাল। প্রত্যাশা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের তরফেও অভিন্ন দাবি করা হয়েছে। অবশ্য অনেকেই এ মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে দাবি তুলে নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসার বদলে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

হেলাল উদ্দীন চুয়াডাঙ্গা শেখপাড়ার ফয়জোদ্দিনের ছেলে। দু সন্তানের জনক হেলাল ছোট বেলা থেকে স্টেশনারি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। তার মৃত্যু নিয়ে প্রত্যাশা মাদক নিরাময় কেন্দ্রের চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই মাদকের কালো থাবার ভয়াবহতা রোধ করতে না পারার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে বিরূপ সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি এক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওখানে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ তুললেও ভয়ে পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ তথ্য জানার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেছে, মাদক নিরাময়ের নামে চিকিৎসা চলছে নাকি করা হচ্ছে নির্যাতন?

Leave a comment