পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ : দু রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ

দামুড়হুদার সুবলপুর গুচ্ছগ্রামে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতদলের হানা : পুলিশের সহযোগিতায় গ্রামবাসর প্রতিরোধ

 

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদার সুবলপুর গুচ্ছগ্রামে গভীররাতে হানা দিয়ে ডাকাতির অপচেষ্টা চালিয়েছে ১০/১২ জনের সঙ্ঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল। ডাকাতদল ডাকাতির চেষ্টাকালে গ্রামবাসী ও থানা পুলিশ প্রতিরোধ গড়ে তুললে সশস্ত্র ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশও ডাকাতদলকে লক্ষ্য করে দু রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং কেউ আটকও হয়নি। গতকাল রোববার রাত দুটোর দিকে উপজেলার সুবলপুরের কিছমতপুর গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুবলপুরের কিছমতপুর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আজিমের বাড়িতে গতকাল রোববার রাত দুটোর দিকে ১০/১২ জনের সঙ্ঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল প্রবেশ করে। গ্রামবাসী ঠিক পেয়ে হইচই শুরু করে। গ্রামবাসীর চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দে টহলরত পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে যান ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌছান দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান। পুলিশ ও গ্রামবাসী মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশও ডাকাতদলকে লক্ষ্য করে দু রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তবে তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে ডাকাতদলের আচমকা হানা দেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ডাকাতি আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই এলাকায় ডাকাতদল ঢোকার সাথে সাথে গ্রামবাসী চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। পাশেই ছিলো থানার টহলদল। তারা বিষয়টি আমাকে জানানোর সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ডাকাতদল এ সময় আমাদের লক্ষ্য করে একটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ কনস্টেবল সাজেদুল ডাকাতদলকে লক্ষ্য করে পরপর দু রাউন্ড গুলি ছোড়ে। কিন্তু অন্ধকারে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ফলে ডাকাতরা এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায়। ডাকাতদলকে পাকড়াও করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

Leave a comment