স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীদের খাবারের মান বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন রাঁধুনির হাতের খাবার খেয়ে রোগীরা খুব খুশি। খাবারের মান যেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি পরিমাণেও বেশি পেয়েছেন তারা। গতকাল নুর জাহান নামের এক রাঁধুনি হাসপাতালের খাবার রান্না করে বিতরণ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ও নজরদারির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে রোগীদের লোকজন মন্তব্য করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের রোগীদের অব্যাহতভাবে খাবার চুরির ঘটনা নিয়ে হাসপাতালপাড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। রাঁধুনি সুফিয়ার সহকারী মাহফুজা খাতুন ফাহিকে চোরাই খাবারসহ আটক করা হয়। গত সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ফাহি আটকের সময় রাঁধুনি সুফিয়া ও তার স্বামী আতিয়ার সটকে পড়েন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। ফাহি আটক মামলায় অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করা হলেও পুলিশ ফাহির জবানবন্দী ১৬১ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করেনি বলে থানাসূত্রে জানা গেছে। তবে আটকের সময় ফাহি চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের সামনেই স্বীকার করেন চোরাই খাবার তিনি সুফিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন সুফিয়া ও তার স্বামীর কথা মতো। খাবার চুরির কারণে সুফিয়াকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। আর জীবননগর থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বদলি করা হয় আয়েশা খাতুনকে। তারা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করবেন বলে হাসপাতালসূত্রে জানা যায়।
গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রাঁধুনি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নুর জাহান। দুপুরে আকস্মিক রান্নাঘর পরিদর্শনে যান সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, আরএমও ডা. মাসুদ রানা, সার্জিকেল কনসালটেন্ট ডা. এসএম নুরুদ্দীন রুমি ও হাসপাতালের খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদার ফেরদৌসওয়ারা সুন্না প্রমুখ। হাসপাতালের রোগীরা জানান, মঙ্গলবার তারা অন্যদিনের তুলনায় পরিমাণে অনেক বেশি খাবার পেয়েছে। মানও চমৎকার। এ জন্য রান্নাঘর পরিদর্শনে যাওয়া নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান রোগীর লোকজনসহ সচেতন মহল। একই সাথে কর্তৃপক্ষ যাতে নিয়মিত রান্নাঘর পরিদর্শন ও নজরদারি করে তাহলে অনিয়ম থাকবে না। তা না হলে আবারও আগের দশায় ফিরে যেতে পারে রান্নাবাড়ার মান।