দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে জামিন নাকচ ঐশীর

স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলায় মেয়ে ঐশী রহমানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে ঢাকার দ্রুত বিচার টাইব্যুনাল-৩’র বিচারক। গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম সাদেকুর রহমান এ আদেশ দেন। এদিন ট্রাইব্যুনালে মামলাটিতে প্রথম তারিখ ধার্য ছিলো। গত ১২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জহুরুল হক মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ বদলি করেন। মামলাটির বাদী ঐশীর চাচা মো. মশিহুর রহমান  রুবেলেসহ ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি (২৭), মিজানুর রহমান রনি (২৫)। এদিকে মামলাটিতে এর আগে মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলেও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পূর্বের গৃহীত সাক্ষ্য বাতিল করে নতুন করে চার্জ গঠনের মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে বলে জানা গেছে। চার্জশিটে কিছু ত্রুটি থাকার জন্য সম্পূরক চার্জশিটের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এ সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া একই ঘটনায় পৃথক মামলায় অভিযুক্ত ঐশীদের বাসার শিশু গৃহকর্মী সুমির মামলাটি বিচারের জন্য প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটি শিশু আদালতে বিচার চলছে। গত ২০ মে সুমির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন শিশু আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভিন। এরপরই তিনি সুমিকে জামিন দেন। গত ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পেয়েছে সুমি। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর চামেলীবাগের বাসা নম্বর ২, বিল্ডিং-চামেলী, ৬ তলা, ফ্ল্যাট বি-৫ নিজ বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মা-বাবা খুন হবার পর রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যায় ঐশী। এ ঘটনায় ১৭ই আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোটভাই মো. মশিহুর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের দিন (১৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে পল্টন থানায় এসে ঐশী নিজের পরিচয় দিয়ে স্বেচ্ছায় কাজের মেয়ে সুমিসহ ধরা দেয়। ঐশী ধানমণ্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলের ছাত্রী ছিলো।