দর্শনা-জীবননগর মহাসড়কের রশিক শাহ’র মাজারের সামনে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা
দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা-যশোর চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো লেট ফি বাঁচাতে বারবার ঘটে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় বহু প্রাণ হারালেও চালকদের হুড়োহুড়ি বন্ধ হয়নি। আবারো লেট ফি বাঁচাতে গিয়ে ঘটলো দুর্ঘটনা। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন মোটরসাইকেলচালক কেরুজ শ্রমিক করম আলী। দর্শনা-জীবননগর মহাসড়কের রশিক শাহ’র মাজারের সামনে বাসের সাথে মোটরসাইকেল মুখোমুখি ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর ঈদগাপাড়ার খোদা বক্সের ছেলে কেরুজ চিনিকলের বয়লার বিভাগের মরসুমি শ্রমিক করম আলী (৪৮) মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে শামসুল ইসলাম সড়ক দিয়ে দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। করম আলী দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের নিকটবর্তী রশিক শাহ’র মাজারের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছুলে দ্রুতগতিতে জীবননগর থেকে দর্শনার উদ্দেশে আসা সুমন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের (যশোর-জ-০৪-০০৪০) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান করম আলী। দুমড়েমুচড়ে যায় করম আলীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে ইটের গাদায় ধাক্কা মারে। দ্রুত বাস থেকে সটকে পড়ে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। স্থানীয় লোকজন বাসটি ভাঙচুর করে। প্রায় ঘণ্টাখানেক দর্শনা-জীবননগর মহাসড়ক অবরুদ্ধ রাখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান ও দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান। এদিকে করম আলীর লাশ উদ্ধার করে নেয়া হয় বাড়িতে। এশার নামাজের পর দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে জানাজার নামাজ শেষে শোকাবহ পরিবেশে ঈশ্বরচন্দ্রপুর গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।