আলুকদিয়া রাজাপুর-বালিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া রাজাপুর-বালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকারী প্রধান শিক্ষক শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে ওই ছাত্রীর মা লিখিত অভিযোগ করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রাজাপুর দক্ষিণপাড়ার আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম জাহান প্রাপ্তি। গত ১৭ নভেম্বর গ্রামেই অবস্থিত রাজাপুর-বালিয়াপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ে যায়। প্রতিদিনের মতো ক্লাসের প্রথম বেঞ্চে বসে। ক্লাসে শিক্ষক আসার আগেই প্রথম বেঞ্চে বসা নিয়ে সহপাঠী রিভার সাথে ঠেলাঠেলি হয়। এ সময় রিভার মা ছুটে গিয়ে তাসনিম জাহান প্রাপ্তিকে বেধড়ক পেটায়। শুধু পিঠিয়েই ক্ষান্ত না হয়ে উল্টো প্রাপ্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামসুল আরেফিনের নিকট। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ওই শিক্ষক কাউকে কিছু না জিজ্ঞাসা না করে প্রাপ্তিকেই কুঞ্চি দিয়ে পেটায়। প্রাপ্তি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরলে তার মা রহিমা খাতুন তাকে সাথে করে বিদ্যালয়ে গিয়ে মেয়েকে পেটানোর কারণ জানতে চান। এ সময় রিভার মা ও শিক্ষক শামসুল আরেফিন একযোগে রহিমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে। শিক্ষক আরেফিন রাগে রাগে প্রাপ্তির বই ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং বলতে থাকেন আপনার মেয়েকে আমি স্কুলে রাখবো না। মেয়ে নিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে যান। উপায়ন্তর না পেয়ে ওই দিনই রহিমা খাতুন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

রহিমা আরো বলেন, শুনেছি অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত হয়েছে, সেখানে আমাকে না জানিয়ে একতরফা তদন্ত করা হয়েছে। আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমার সন্তানদেরকে পড়া-লেখা করানোর অধিকার আমার আছে। সে অধিকার খর্ব করে আমার কন্যাকে বেধড়ক পিটিয়ে বই-খাতা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষক আমার কন্যাকে বের করে দিবে এটা হতে পারে না। এছাড়া একই বিদ্যালয়ে আমার ছেলে বাঁধন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে ওই শিক্ষক হুমকি দিয়ে বলেন, তোর ছেলে কীভাবে জিপিএ-৫ পায় আমি দেখে নেবো। এ ধরনের হুমকি-ধামকি ও অশিক্ষক সুলভ আচরণের বিরুদ্ধে আমি জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রতিকার চাই।

অভিভাবক রহিমা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল চুয়াডাঙ্গা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের ফোনে ও অভিযুক্ত শিক্ষক শামুসল আরেফিনের মোবাইলফোনে রিং দিয়েও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a comment