ক্ষুধার জ্বালায় ৮০ বছর বয়সেও কাগজ কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করে কার্পাসডাঙ্গার ইসাহক

মোস্তাফিজুর রহমান কচি/শরিফ রতন: ১০ বছর বয়স থেকে পরের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। গায়ে যখন শক্তি সমর্থ ছিলো সবাই আমাকে আদর করে কাজে নিতো। এখন বয়সের ভারে শরীরের শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। তাই এখন আমাকে কাজের জন্য ডাকে না। কিন্তু বাবা ক্ষিদের জ্বালা বড় জ্বালা তাইতো পেটের জ্বালা জুড়াতে কাগজ কুড়িয়ে বেড়াচ্ছি। অশ্রু স্বজল চোখে ভাঙা ভাঙা গলায় কথাগুলো বললেন, কার্পাসডাঙ্গার ৮০ বছর বয়সী ইসাহক আলী। ইসাহক আলীর বাড়ি কার্পাসডাঙ্গা পূর্বপাড়ায়। বাপের জমি জায়গা বলতে কিছুই নেই। পরের জমিতে কোনো রকমে কুঁড়েঘর বেধে করেছেন মাথা গোজার ঠাঁই। কাগজ কুড়ে তার আয় হয় প্রতিদিন ২০/২৫ টাকা। তার দিন কাটে খেয়ে না খেয়ে। ইসাহক আলীর একটি মাত্র ছেলে ওসমান গণি তার সংসারে রয়েছে ৪ সন্তান। ওসমান গণি ভ্যান চালিয়ে কোনো রকম ছেলে মেয়েদের পেটে আহার জোগায় তাইতো ছেলের সংসারে বোঝা হয়ে থাকতে চান না ইসাহক আলী। ইসাহক আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা রাহেলা বেগম পরের বাড়িতে কাজ করে পেটের ভাত জোগাড় করে। সকাল হলেই ইসাহক আলীকে দেখা যায় বাজারের অলিতে-গালিতে কাগজ কুঁড়াতে। সন্ধ্যা হলেই যেটুকু কাগজ পায় তা বিক্রি রে ফিরে যায় বাড়িতে।