স্টাফ রিপোর্টার: বাজে সময় পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা ও খুলনায় জেতা দলটি টেস্টে টানা তৃতীয় জয়ের বিরল সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে হারাতে পারলেই গড়া হবে ইতিহাস। দুই বার টানা দুই টেস্ট জয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু টানা তিন টেস্ট কখনোই জেতা হয়নি তাদের। চট্টগ্রামে জিতলে সেই অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে মুশফিকুর রহিমদের। আজ বুধবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।
২০০৫ সালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট জিতেছিলো বাংলাদেশ। এই শহরে সাফল্য কম নয় তাদের। অর্জনে নতুন একটি পালক যোগ করতে শেষ টেস্টে জিততে চায় স্বাগতিকরা। তবে প্রথম দুই টেস্টের চেয়ে চট্টগ্রামে জেতা অনেক বেশি কঠিন হবে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ শিবির। অতিথিরা কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়ায় সতীর্থদের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করার আহ্বান জানিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিক। বিশেষ করে ফিল্ডিং নিয়ে দুর্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে। প্রথম দুই টেস্টে বেশ কিছু সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন স্বাগতিকরা। বোলাররা বেশি সুযোগ তৈরি করায় চড়া মাশুল দিতে না হলেও দুই ক্ষেত্রেই আরো সহজে জেতার সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। জয় পেতে ছন্দে থাকা সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলামদের ওপরই বেশি নির্ভর করবে বাংলাদেশ। তবে শুরুতে পেসারদের কাছ থেকে ‘ব্রেক থ্রু’ চান মুশফিক। প্রথম দুই টেস্টে দুই পেসার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। দুইবারই দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র একজন পেসারকে বোলিঙে আনেন অধিনায়ক। চট্টগ্রামে তাই একজন পেসার নিয়ে খেলার সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রামের উইকেটে সাধারণত খুব বেশি বাউন্স থাকে না। স্পিন সহায়ক উইকেট হয়। একজন পেসার খেলানো হলে অবশ্যই অতিরিক্ত একজন ব্যাটসম্যান খেলানো হবে। বাংলাদেশ দলে বাড়তি কোনো স্পিনার নেই। সাকিব, তাইজুলের সাথে জুবায়ের হোসেনই থাকবেন স্পিন আক্রমণের দায়িত্বে। প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব (১৭) ও তাইজুল (১৫) মিলে পেয়েছেন ৩২ উইকেট। অতিথিদের ভাবনা জুড়ে থাকবেন এ দুই বাঁহাতি স্পিনারই।
মুশফিক জানান, বাংলাদেশ দলে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না। বাদ পড়া শামসুর রহমানের জায়গায় তামিম ইকবালের সাথে ইনিংস উদ্বোধন কে করবেন তা পরিস্কার করেননি তিনি। ইমরুল কায়েসের খেলার সম্ভাবনা বেশি। চট্টগ্রামে শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতক করেছিলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দুই পেসার খেলানো হলে শাহাদাতের জায়গায় দলে ফিরবেন শফিউল ইসলাম। এক পেসার খেলানো হলে মিডলঅর্ডারে খেলতে পারেন এনামুল হক। ঢাকার ব্যাটিং, খুলনার বোলিং চট্টগ্রামে দেখতে চান ব্রেন্ডন টেইলর। কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়ায় তৃতীয় টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার ব্যাপারে আশাবাদী জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। খুলনায় সাফল্য পাওয়া স্পিনারদের ওপরই চট্টগ্রামে নির্ভর করবে অতিথিরা। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আপত্তি উঠা অনিয়মিত স্পিনার ম্যালকম ওয়ালার (৬) এবং গত ম্যাচেই অভিষিক্ত লেগস্পিনার নাটসাই মুশাংওয়ে (৫) খুলনায় নেন ১১ উইকেট।