আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ভুয়া স্বাক্ষর করে আলমডাঙ্গা পিআইও অফিস থেকে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও দৈনিক সংবাদের বিজ্ঞাপনের বিল তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর দৈনিক সংবাদে আলমডাঙ্গা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের একটি দরপত্র বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞাপন দুটির বিল প্রায় ১৪ হাজার টাকা ২০১০ সালের ১৫ জুন সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সাংবাদিক সেজে ভুয়া স্বাক্ষরে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রায় সাড়ে ৪ বছর পরে গত সোমবার চুয়াডাঙ্গা থেকে সাংবাদিক রিফাত রহমান দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার ওই বিল অফিসে দাখিল করেন। এ সময় সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফের সাথে তার বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে আব্দুল লতিফ বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে খুলে বলেন। তিনি ২০০৯ সালে অফিসে জমাকৃত ওই দুটি পত্রিকার বিল বের করে দেখান। দেখা যায়, ২০১০ সালের ১৫ জুন পত্রিকার ভুয়া সাংবাদিক সেজে শুধুমাত্র স্বাক্ষর করে ওই পত্রিকা দুটির প্রায় ১৪ হাজার টাকার বিল তুলে নেয়া হয়েছে। সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, ২০০৯ সালে আলাউদ্দীন আহমেদ ছিলেন আলমডাঙ্গা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে অফিস সহকারী তৎকালীন আলমডাঙ্গা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি আলমডাঙ্গার যে দু সাংবাদিক বিল জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন বলে দাবি করেছেন, তারা বর্তমানে তা অস্বীকার করছেন বলে জানিয়েছেন। সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, একই বিল দুবার কীভাবে অফিস পরিশোধ করবে? এমন কোনো নিয়ম নেই। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গার সাংবাদিকদের নৈতিক স্খলনের বিষয়টি সাধারণ্যে আরেকবার প্রকাশ হয়ে পড়লো।