স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতের হরতালে গত বুধবার পিকেটারদের দেয়া আগুনে দগ্ধ ট্রাকচালক শামসুল হক মারা গেছেন। গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান, বিকেল তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। শামসুল হক (৫০) বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামের প্রয়াত দবির উদ্দীনের ছেলে। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় হওয়ার পর সারাদেশে টানা দু দিন (১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর) হরতাল ডাকে দলটি। বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও সদর) মো. গাজিউর রহমান জানান, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মহাসড়কে ঢাকা থেকে বগুড়াগামী সারবোঝাই একটি ট্রাক শেরপুরের দশ মাইলের ঈদগা মাঠের কাছে পৌঁছুলে ১০/১২ জন পিকেটার ট্রাকটিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর তিনটি মোটরসাইকেলে আসা ৬/৭ জন পিকেটার জ্বালানিভর্তি প্লাস্টিকের বোতলে আগুন ধরিয়ে ট্রাকের চালককে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করে। এতে চালক শামসুল হকের কাপড় এবং ট্রাকের ইঞ্জিনের কেবিনে আগুন ধরে। অগ্নিদগ্ধ শামসুল হককে শেরপুর থানার টহল পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর পাঠানো হয় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, এ হামলার ঘটনায় শেরপুর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৬/৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায় শেরপুর থানা পুলিশ হামলার রাতেই উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শেরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এমএ হালিমকে (৫৩) গ্রেফতার করেছে।