মাথাভাঙ্গা অনলাইন :
কুষ্টিয়ার উথলী ব্রীজের কাছে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি নেতা ফজলুর রহমান (৪০) নিহত হয়েছেন। রোববার ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলের এ সাথে বন্দুক যুদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১টি নাইন এম.এম পিস্তলসহ ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফজলুর রহমান ফজলু চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তিফৌজের বাহিনী প্রধান ছিলেন। সে খোকসা উপজেলার যদুবয়রা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, চরমপন্থী নেতা ফজলু জয়ন্ত হাজরা ইউনিয়নের উথলী ব্রিজের কাছে ফাঁকা মাঠের মধ্যে বড় ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য গোপন বৈঠক করছে। এমন খবর পেয়ে কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের একটি টিম ভোর সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে অভিযানে যায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফজলু বাহিনী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ বেধে যায়।
আধা ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে ফজলু গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি নাইন এমএম পিস্তল, একটি রিভলবার, একটি পাইপগান ও দুটি এলজি, একটি চাপাতি, একটি রামদা ও বিভিন্ন অস্ত্রের ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, নিহত ফজলু নিষিদ্ধ ঘোষিত গণমুক্তিফৌজের শীর্ষ নেতা ও বাহিনীপ্রধান।
তার বিরুদ্ধে খোকসা আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে।
সে দীর্ঘদিন ধরে নিজের নামে বাহিনী গঠন করে খুন-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল