স্টাফ রিপোর্টার: সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সাথে বন্দীবিনিময় ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ ৩টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। তবে জনশক্তি রফতানির বিষয়ে সাড়া না পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ইউএই সরকারের সাথে আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ইউএই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের মধ্যে গতকাল সোমবার বিকেলে দুবাইয়ে বৈঠক শেষে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিগুলো হচ্ছে- নিরাপত্তা সহযোগিতা, দণ্ডিত বন্দীবিনিময় এবং ঢাকায় ইউএই দূতাবাসে নির্মাণে জমি হস্তান্তর। জানা গেছে, আরব আমিরাত সফরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানির বিষয়ে প্রস্তাব করলেও ইউএই’র প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম বলেন, দুই দেশ এ সমস্যার সমাধানে কাজ করবে। তবে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে আরব আমিরাতে শ্রম বাজার চালু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শনিবার তিনদিনের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার আয়োজনের জন্য ইউএইকে অনুরোধ উপেক্ষা করে রাশিয়াকে ভোট দেয় বাংলাদেশ। তখন থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে।