মৈত্রী এক্সপ্রেসে ৩২৬ যাত্রী দেশে প্রবেশ : পর্যবেক্ষণে ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম

দর্শনা চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সর্তকতা

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার দর্শনা চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। মারণব্যাধি ইবোলা ভাইরাস নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারির পর থেকে এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারত থেকে ছেড়ে আসা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৩২৬ জন যাত্রী নিয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে প্রবেশ করে। এর মধ্যে ভারতীয় ৫২ জন, মালয়েশীয় ২ জন এবং বাকিরা বাংলাদেশি বলে জানান স্টেশনমাস্টার মীর মো. লিয়াকত আলী। মারণব্যাধি ইবোলা ভাইরাস বহনকারী যাত্রী শনাক্তকরণের লক্ষ্যে দর্শনা চেকপোস্ট ও আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন এলাকায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. একরামুল হকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম যাত্রীদের ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে সার্বক্ষণিকভাবে সচেতন করাসহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

৫ সদস্যের মেডিকেল টিমের প্রধান দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. একরামুল হক জানান, আমরা খুবই সতর্কতার সাথে যাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের সাথে কথা বলে ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করাসহ প্রতিটি যাত্রীকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া বিষয়টি যাতে কোনো ধরনের আতঙ্ক না ছড়ায় সেদিকেও সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। তিনি আরও জানান, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, সুদান এসমস্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের প্রতি বিশেষ নজরদারির নির্দেশনা রয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর প্রাথমিক লক্ষণ হলো- সর্দি, কাশি, গায়ে ব্যথা ও গলায় ব্যথা হওয়া। ইবোলা ভাইরাস বানর ও বাদুর থেকে ছড়ায়। দর্শনা চেকপোস্টে কর্মরত ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই মাহবুব হোসেন জানান, গতকাল শনিবার দর্শনা চেকপোস্ট হয়ে প্রায় ৩শ জন যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন।

Leave a comment