জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জের বিরুদ্ধে দু জেএসসি পরীক্ষার্থীকে আটক করে তাদের পরিবারের নিকট থেকে অর্থবাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত বুধবার চুরির অভিযোগ এনে জেএসসি পরীক্ষার্থী কায়সার আহমেদ কায়েস ও মারুফ ইসলামকে আটক করার পর তাদের পরিবারের নিকট থেকে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা অর্থবাণিজ্য করেন ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই শ্যামল কুমার।
জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন, তার ছেলে কায়সার আহমেদ কায়েশ রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষা দেবে। অপরদিকে একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মারুফ ইসলাম মাধবপুর বিসিকেএমপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী। বুধবার সকালে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরাকালে কায়েশকে ডেকে নিয়ে ৫ বোতল কীটনাশক বিক্রি করতে যায় মারুফ। এ সময় বালিহুদা বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী নয়ন স্টোরের স্বত্বাধিকারী আহসান হাবিব ওই কীটনাশক তার দোকান থেকে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ এনে তাদেরকে আটক করে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাদেরকে রায়পুর ফাঁড়ি ইনচার্জের হাতে তুলে দেয়া হলে ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই শ্যামল কুমার তাদের পরিবারের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও তিনি এদিন বালিহুদা গ্রামে একটি মারামারির ঘটনায় ২৫ হাজার টাকা অর্থবাণিজ্য করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই শ্যামল কুমারের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার মতামত জানা জানা সম্ভব হয়নি।