চুয়াডাঙ্গায় সাতটি ব্যাংকে ফসল ঋণের ৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার একটি টাকাও বিতরণ হয়নি!

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কৃষিঋণ বিতরণ কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় কৃষিঋণ, ছাগল পালন ঋণ, স্বনির্ভর ঋণ, বিআরডিবি ঋণ বিতরণ ও আদায় এবং সার্টিফিকেট মামলার বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে সাতটি ব্যাংক ফসল ঋণের ৯ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে একটি টাকাও বিতরণ করেনি।

ব্যাংকগুলো হলো- রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকা, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড ৯০ লাখ টাকা, পুবালী ব্যাংক লিমিটেড ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, কর্মসংস্থান ব্যাংক ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, ইউসিবিএল ১ কোটি টাকা, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড ৮০ লাখ টাকা ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১৬ লাখ টাকা।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী জেডি নাসির উদ্দিন, সোনালী ব্যাংকের এসইও মাহবুবুর রহমান, জনতা ব্যাংকের এজিএম বীরেন্দ্র চন্দ্র তপাদার, রূপালী ব্যাংকের এসপিও মতিয়ার রহমান, কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র সরকার, কুষ্টিয়ার বিআরডিবির উপপরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, স্বনির্ভর বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার সাজেদুল হক, পুবালী ব্যাংকের ম্যানেজার আলীম উদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, কর্মসংস্থান ব্যাংকের ম্যানেজার দয়াল চন্দ্র সরকার, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদ ওসমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়- চুয়াডাঙ্গা জেলার ১৫টি ব্যাংকে ১৪৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে টাকা বিতরণ হয়েছে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আদায়ের গড় হার ৯ ভাগ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, তামাক বাদ দিয়ে অন্য ফসলে ঋণ দিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে কৃষিঋণ নিয়ে যারা উৎপাদনমুখি টাকা ব্যবহার না করে ভোগ বিলাসে ব্যবহার করেন তাদেরকে ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

Leave a comment