মাথাভাঙ্গা মনিটর: গরিব কৃষক বাবার পাঁচ মেয়ে। বয়স যথাক্রমে ৪৫, ৪৩, ৩৮, ৩৫ ও ৩১ বছর। বাবা যৌতুকের অর্থ জোগাড় করতে পারেননি। তাই এদের কারও বিয়েও হয়নি। ‘আইবুড়ি’ হওয়ায় উঠতে-বসতে গঞ্জনা সইতে হচ্ছিলো তাদের। এ নিয়ে বাবার সাথে ঝগড়া হয়। পরে রাগে-দুঃখে-অভিমানে পাঁচ বোন মিলে খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপ দেন। এতে চার বোনের প্রাণ গেছে। সবচেয়ে ছোট বোনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মাইলসি নামের এক শহরে। এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বশির আহমেদ রাজপুত নামে এক গরিব বাবা যৌতুক জোগাড় করতে না পারায় পাঁচ মেয়ের বিয়ে দিতে পারেননি। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার তার সাথে মেয়েদের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে পাঁচ মেয়ে একসাথে খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দু মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাকি দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলেই মনে করছেন কর্মকর্তারা। পাকিস্তানে সাধারণত ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সের মধ্যে মেয়েদের বিয়ে হয়। দেশটিতে যৌতুকের বলি হতে হয় বহু নারীকে।