মাথাভাঙ্গা মনিটর: জাপানের শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি গবেষক নজরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম ১৮ আগস্ট মাউন্ট ফুজি জয় করেছেন।
এই দুই গবেষক জানান, মাউন্ট ফুজি (ফুজি-সান) জাপান তথা বিশ্বের সবচেয়ে সৌন্দর্যময় পর্বতশৃঙ্গ, যার উচ্চতা ৩,৭৭৬ মিটার (১২,৩৮৯ ফিট)।
রাজধানী টোকিও থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হনশু দ্বীপে জাপানের এই সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ও বিশ্বখ্যাত ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিটি। আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে শেষ একবার এর ঘুম ভেঙেছিল।
তারা জানান, ইউনেস্কো মাউন্ট ফুজিকে বিশ্ব প্রাকৃতিক হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মাউন্ট ফুজির জ্বালামুখটি আশ্চর্যরকমভাবে প্রতিসম, যা বছরের বেশ কয়েক মাস বরফাচ্ছাদিত থাকে। এটি জাপানের একটি সুপরিচিত প্রতীক এবং জাপানের শিল্পকলা ও স্থিরচিত্রে প্রায়শই দেখা যায়।
পর্যটক ও পর্বতারোহীদের কাছে মাউন্ট ফুজি একটি জনপ্রিয় স্থান। প্রতিবছর জুলাই-আগস্ট মাসে এটি পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
নজরুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে গত ১৭ আগস্ট শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনের একটি দল জাপানের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় পর্বতারোহন শুরু করেন।
টানা ১০ ঘণ্টা পর সকাল ৬টায় (১৮ আগস্ট) সর্বপ্রথম সফল ফুজি জয় করেন নজরুল ইসলাম এবং এর ১৫ মিনিটের মাথায় জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়াও এক মঙ্গোলিয়ান নারী ও এক আলজেরিয়ান তরুণের সফল অভিযান সম্পন্ন হয়। জাপানের এই সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে একঘণ্টা অবস্থানের পর তারা সকাল ১১টায় নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করেন।
এ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও আনুষঙ্গিক খরচ তারা ব্যক্তিগতভাবেই বহন করেছেন। পর্বতারোহনের সময় মাঝে মাঝে অক্সিজেন স্বল্পতা, ঠাণ্ডা বায়ুপ্রবাহ ও নুড়িপাথর কিছুটা প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। তবে জাপানের সর্বোচ্চ তথা বিশ্বের সবচেয়ে সৌন্দর্যময় এই পর্বতশৃঙ্গে আরোহন করতে পেরে নজরুল ইসলাম গর্বিত ও আনন্দিত।
দৃঢ় মনোবল, ইচ্ছাশক্তি আর সাহস থাকলে পৃথিবীর যে কোনো কিছুই জয় করা সম্ভব বলে জানান দলনেতা নজরুল ইসলাম।