বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের চিলমারিপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিস বৈঠকে অভিযুক্তদের দু দফায় জুতোপেটা করা হয়েছে।
জানা গেছে, সপ্তাখানেক আগে কানকথা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের চিলমারিপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল কাদের ও মাইনদ্দিনের মধ্যে। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে মাইনদ্দীনের বাড়িতে হাজি আনোয়ারের সভাপতিত্বে গ্রাম্যমাতবর আইনাল, ফজলু, তাইজেল, রিয়াজ উদ্দিন নিতু, সিরাজ, নুর ইসলাম, জুলমত কাশেম, মাহাম্মদ, তালেব, তাজুল, বাক্কা, মরজতদের সমন্বয়ে সালিস বৈঠক বসে। সালিস বৈঠক চলাকালীন সময় খালেকের ছেলে ছামাদ এবং আকরামের ছেলে সাবুর মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতি হয়। তখন মূল বিচার বাদ দিয়ে মাতবররা ছামাদকে ১শ ঘা জুতোর বাড়ি মারার সিদ্ধান্ত দেন এবং তা আঘাত করা হয়। সালিসের শেষ পর্যায়ে জনৈক নিতুর লোকজন আব্দুল কাদেরের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে মোশারফ, ছালাম, জহুরুল ও বাবুকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরাজ করে চাপা উত্তেজনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় আবারও হাজি আনোয়ারের সভাপতিত্বে তার বাড়ির পেছনের বাগানে সালিস বসে। গত দিনের সালিস বৈঠকে হামলাকারী সুমন, বিপ্লব, নুরুজ্জামান ও শুকুর আলীকে পুনরায় জুতোপেটা করেন মাতবর নিতু। প্রকাশ্যে জুতোপেটার ঘটনায় সালিসকারীদের নিয়ে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এ বিষয়ে গ্রাম্যমাতবর নিতু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সালিসে বেয়াদবি করার কারণে জুতোপেটার ঘটনা ঘটেছে।