লক্ষ্মীপুরে গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানার সামনে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিলকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল জলিলের শরীরে যে গুলি পাওয়া গেছে, ওই গুলি আবদুল জলিলের ব্যবহৃত এসএমজির গুলি নয়। এটা ছিলো শটগানের গুলি। বিদ্যুতের দাবিতে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে  ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার পর রাতে দুবৃর্ত্তরা সুযোগ নিয়ে তাকে গুলি করতে পারে এবং অন্য পুলিশ ও এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে রায়পুর থানার সামনে একটি চা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন এএসআই আবদুল জলিল। চা খাওয়া অবস্থায় গুলির শব্দ শুনে সহকর্মীরা এগিয়ে আসে জলিলের কাছে। এতে আবদুল জলিল বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে জেলা পুলিশ লাইনস্ মাঠে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বড় ভাই আবদুল মতিনের কাছে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার।

Leave a comment