স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাটারি চালিত অটো ছিনতাই ও ছিনতাইকারী শনাক্ত করা নিয়ে আয়োজিত সালিসে রিণ্টু নামের একজনকে মারধর করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গার ভিমরুল্লাহ জেলখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান হ্যাপিকে পুলিশ আটক করেছে।
ভিমরুল্লার আজিজুল হকের ছেলে রিণ্টুকে মারধরের পর হাফিজুর রহমান হ্যাপি থানায় উল্টো নালিশ করতে গেলে তাকেই পুলিশ আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে রিণ্টু পক্ষ চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে থানায় নালিশ করেছে। পুলিশ উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে হ্যাপির বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
জানা গেছে, ভিমরুল্লার জিনারুল ইসলামের একটি অটো একই গ্রামের নূর মোহাম্মদ ভাড়ায় চালাতো। ২০/২২ দিন ভাড়ায় নিয়ে গোকুলখালীতে গেলে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে। অজ্ঞান করা ওষুধ মিশ্রিত জুস খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে অঞ্জান পার্টির সদস্যরা অটো নিয়ে সটকে পড়ে। নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। ঘটানি সাজানো বলে দাবি তুলে অটো মালিক জিনারুল অটোর মূল্যবাবদ দেড় লাখ টাকা দাবি করে। মাঝে মধ্যস্ততায় যুক্ত হয় হ্যাপীসহ কয়েকজন। নূর মোহাম্মদ কিছু টাকা পরিশোধও করে। এরই মাঝে অটো ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করে নূর মোহাম্মদসহ গ্রামেরই কিছু ব্যক্তি। আমির নামের একজনকে শনাক্ত করার পর আমির অটোর মূল্যবাদ ২০ হাজার টাকা দেয়, একটি মোটরসাইকেলও জিম্মায় রাখে। এসব নিয়েই গতকাল সালিস বসে জেল খানার সামনে। সেখানে আমিরের পক্ষ নেয় হ্যাপি। বাধে হট্টগোল। মারধর শুরু হয় রিণ্টুকে। শেষ পর্যন্ত হ্যাপী পড়েছে বেকায়দায়।