কোরবানি সামনে রেখে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের বাড়তি প্রস্তুতি

 

চুয়াডাঙ্গায় মোট গবাদি পশু-পাখি ৩৯ লাখ ২১ হাজার

খাইরুজ্জামান সেতু: পদে পদে সঙ্কট, সমস্যা। এরপরও কোরবানি সামনে রেখে গবাদি পশুর চিকিৎসা দিতে সর্বদা প্রস্তুত চুয়াডাঙ্গা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এরকমই মন্তব্য করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কোহিনুর ইসলাম বলেছেন, কোরবানির সামনে রেখে গবাদি পশুর মড়করোধে সর্বস্তরে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পশু সম্পদ বিভাগে শুধু নেই নেই। ভেটারি সার্জন ৪টি পদের মধ্যে দুটি শূন্য। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ৪টি পদের মধ্যে আলমডাঙ্গারটি দীর্ঘদিন ধরেই শূন্য রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বশেষ পশুসম্পদ শুমারি অনুযায়ী মোট ৩৯ লাখ ২১ হাজার ৩শ ২৯টি গবাদি পশু রয়েছে। মোট খামার রয়েছে রেজিস্ট্রেশনকৃত ১ হাজার ৭শ ১টি। গবাদি পশুর মধ্যে গরু ১ লাখ ৮৭ হাজার ২টি, মোষ ৯ হাজার ৬৬শ ৭টি, ছাগল ২ লাখ ৭৮ হাজার ৪শ ৮৭টি, ভেড়া ১১ হাজার ২শ ৬৩টি। মোরগ-মুরগি ২৯ লাখ ৬৫ হাজার ১ম ৯৭টি। হাঁস ২ লাখ ৪ হাজার ৫শ ৭৬টি। কবুতর ২ লাখ ৬৫ হাজার ১শ ৯৭টি। ব্রয়লার মুরগির খামার ৮শ ৮৬টি, লেয়ার খামার ২শ ১৯টি, হাঁসের খামার ১৪টি, গাভীর খামার ৪শ ৩টি, ছাগল খামার ৮৭টি, ভেড়ার খামার ৮৯টি। এসব খামার ও ঘরে ঘরে গড়ে তোলা গবাদি পশু পালনকারীদের গবাদি পশুর চিকিৎসার জন্য উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে পশু সম্পদ কার্যালয়। প্রতিটি উপজেলায় একজন করে ভেটেরিনারি সার্জন থাকার কথা থাকলেও দামুড়হুদা ও জীবননগরে বর্তমানে নেই। পদ দুটি শূন্য।

চুয়াডাঙ্গার গবাদি পশু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গেলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় লোকবলের যথেষ্ট অভাব। লোকবল সমস্যা থাকার কারণে কিছু কিছু সময় হিমশিম খেতে হয়। এরপরও আমরা যারা দায়িত্ব পালন করছি তারা সব সময়ই আন্তরিকভাবেই দায়িত্ব পালন করছি। যেহেতু কোরবানির সামনে গরু মোটাতাজাকরণ খামারি ও কৃষি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়, সেহেতু আমরা এ সময়ে বাড়তি দায়িত্ব পালনের জন্যই সর্বদা সজাগ রয়েছি। যেখানেই কোনো সমস্যা দেখা দেবে সেখানেই দ্রুত ছু্টে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

Leave a comment