মাথাভাঙ্গা অনলাইন : মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এটিই মানবতাবিরোধী অপরাধের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের প্রথম রায়।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার সকালে এ রায় দেন। বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পাঁচ বিচারপতির মধ্যে চারজনই ফাঁসির পক্ষে রায় দেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এ রায় দেয়া হয়েছে।
প্রায় ৫৬ দিন মামলাটি অপেক্ষমাণ থাকার পর অবশেষে রায় ঘোষণা হলো। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে গত ২৩ জুলাই এ মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
এর আগে এ মামলায় সাত অ্যামিকাস কিউরির মতামত গ্রহণ করেন আদালত।
আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ মিলে সর্বমোট ৩৯ কার্যদিবস তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
গত ১ এপ্রিল থেকে কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষ ও পরে আসামিপক্ষের করা আপিলের শুনানি হয়। এর মধ্যে ১ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মোট ১৪ কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের সমন্বয়ক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
অন্যদিকে ২৯ এপ্রিল থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ১৮ কার্যদিবসে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ডিফেন্সের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অপরাধে দায়ী করে দু’টিতে যাবজ্জীবন ও তিনটিতে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দেন। একটি অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি উল্লেখ করে ওই অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।
সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দণ্ড না দেয়ায় এবং একটি অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাস দেয়ায় সাজা বাড়ানোর জন্য এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩ মার্চ আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। আপিলে ওই পাঁচটি অভিযোগে দেয়া সাজা অপর্যাপ্ত দাবি করে এবং খালাসের আদেশ বাতিল চেয়ে সর্বোচ্চ দণ্ড ফাঁসির আরজি জানানো হয়। আর ৪ মার্চ প্রমাণিত সব অভিযোগ থেকে খালাসের আবেদন জানিয়ে আপিল করেন আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে তার আইনজীবী।
আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ মিলে সর্বমোট ৩৯ কার্যদিবস তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
গত ১ এপ্রিল থেকে কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষ ও পরে আসামিপক্ষের করা আপিলের শুনানি হয়। এর মধ্যে ১ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত মোট ১৪ কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের সমন্বয়ক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
অন্যদিকে ২৯ এপ্রিল থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ১৮ কার্যদিবসে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ডিফেন্সের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অপরাধে দায়ী করে দু’টিতে যাবজ্জীবন ও তিনটিতে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দেন। একটি অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেননি উল্লেখ করে ওই অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।
সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দণ্ড না দেয়ায় এবং একটি অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাস দেয়ায় সাজা বাড়ানোর জন্য এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩ মার্চ আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। আপিলে ওই পাঁচটি অভিযোগে দেয়া সাজা অপর্যাপ্ত দাবি করে এবং খালাসের আদেশ বাতিল চেয়ে সর্বোচ্চ দণ্ড ফাঁসির আরজি জানানো হয়। আর ৪ মার্চ প্রমাণিত সব অভিযোগ থেকে খালাসের আবেদন জানিয়ে আপিল করেন আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে তার আইনজীবী।