স্টাফ রিপোর্টার: তিন দিন ধরে রাজধানীর শিশু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ছিলো ছয় বছরের মেয়েটি। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো তাকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও সুস্থ হয়ে হাসিখুশি মেয়েটি বাড়ি ফিরে আসবে- এমনটাই ভেবেছিলেন মা নাজনীন আক্তার। কিন্তু মায়ের সেই ভাবনা সত্যি হয়নি। গতকাল সোমবার বিকেলে ছয় বছরের ছোট্ট শিশু চন্দ্রমুখি মারা যায়। ফুটফুটে যে মেয়েটি দাপিয়ে বেড়াতো সারা বাড়ি, সে আর নেই। কোথাও নেই। মা নাজনীন আক্তার মেনে নিতে পারেননি এ খবর। মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বাসার পাঁচ তলার ছাদ থেকে লাফ দেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় মা নাজনীন আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক। তার স্বামী রকিবুল ইসলাম ওরফে মুকুলও একজন সাংবাদিক। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন গাজী টিভির প্রধান প্রতিবেদক। সহকর্মীরা জানান, নাজনীন আক্তার মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।