উড়নচণ্ডি স্বামীর নির্যাতনে অসাড় সুবর্ণাকে দেখে বিভ্রান্তি

মারা গেছে ভেবে জনতার ভিড় : খবর পেয়ে পুলিশের উপস্থিতি : অবশেষে ভাঙলো ভুল

 

স্টাফ রিপোর্টার: উড়নচণ্ডি স্বামীর নির্যাতনে অসাড় পড়ে থাকা সুবর্ণা খাতুনকে দেখে প্রথমে মারা গেছে বলেই ধারণা করেন অনেকে। অবশ্য পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয়রা তার নাম ধরে ডাকলে সে উঠে বসে। চমকে ওঠেন সকলে। ঘটনাটি ঘটে গতরাত সাড়ে ন’টার দিকে চুয়াডাঙ্গার বুজরুকগড়গড়ি বুদ্ধিমানপাড়ায়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার মামুন একই এলাকার তোতা মিয়ার মেয়ে সুবর্ণার সাথে নয় মাস আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই মামুন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকে। মামুনের মা একটি শাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এলাকার এক কাজির সহযোগীর মাধ্যমে তালাক হয়ে গেছে বলেও জানিয়ে দেয়। এরপরও মামুন তার স্ত্রী সুবর্ণাকে সাথে নিয়ে বুদ্ধিমানপাড়ার শাকের আলীর বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে। মামুন গতকাল সন্ধ্যার পর নির্যাতন শুরু করে। স্থানীয়রা এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, নির্যাতনের পর স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সূবর্ণা অসাড় হয়ে পড়ে থাকে। ভাড়া মালিকের সহযোগিতায় তাকে ঘরের বাইরে বের করে রাখা হয়। স্বামীর নির্যাতনে সুবর্ণা প্রাণ হারিয়েছে বলে এলাকায় খবর রটে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই রবিউল ইসলাম সাঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। তখন স্থানীয় কয়েকজন সুবর্ণার নাম ধরে ডাকলে সে উঠে বসে। পুলিশসহ উৎসুক জনতা চমকে ওঠে। পরে অবশ্য সুর্বণাকে তার এক মামা সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

স্থানীয়রা বলেছেন, সূবর্ণা এক অসহায় মেয়ে। মা পেতেছে নতুন সংসার। বিয়ে করেও সংসারে পেলো না স্বস্তি। সে কারণে নিজের ওপর রাগ করে নিজেই ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটেছে।