গোডাউনে আটকে রাখা মাছের ও মুরগির খাদ্য দু দিন পর পুলিশ হেফাজতে

আলুকদিয়ার আলোচিত আপেলকে খুঁজছে পুলিশ

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়ার এসএস এন্টারপ্রাইজের গোডাউন থেকে জব্দকৃত মাছের ও মুরগির খাবার থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ফিড কোম্পানির মার্কেটিং অফিসারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে মাছের ও মুরগির খাবার গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।

মামলার আসামি এসএস এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী বহুল আলোচিত মাসুদ রানা আপেলকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়ার পাশাপাশি পুলিশ ট্রাকচালক কামালকেও খুঁজতে শুরু করেছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রাকটিরও হদিস করতে পারেনি পুলিশ। ট্রাকচালক কামালই কি মাছের ও মুরগির খাবারগুলো বরিশালের মুলাদির বদলে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়ার এসএস এন্টারপ্রাইজের গোডাউনে রাখে? নাকি ট্রাকচালক ও হেলপারকে খুনের পর গুম করে ট্রাক ও ট্রাকে থাকা মাছের এবং মুরগির খাবারগুলো আলুকদিয়ার ওই গোডাউনে নেয়া হয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে পুলিশের এখন নাকানি চুবানি অবস্থা। অবশ্য মানিকগঞ্জ শিবালয়ের উথলীস্থ ট্রান্সপোর্ট মালিক বাদল মোল্লাকেও সন্দেহের দৃষ্টিতে রেখেছে পুলিশ। তারই নীড় ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে পাটুরিয়ার মেগা ফিড কোম্পানির মাছের ও মুরগির খাবার বরিশালের মুলাদির চন্দ্রদীপ মৎস্য খামারে প্রেরণ করা হয়। পথিমধ্যে নিরুদ্দেশ হয় ট্রাক, ট্রাকচালক ও হেলপার। কয়েকদিনের মাথায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়ার এসএস এন্টারপ্রাইজের গোডাউনে মাছের ও মুরগির খাদ্যগুলোর হদিস মিললেও ট্রাকের হদিস মেলেনি বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপোর্ট মালিক বাদল মোল্লা। তিনি অবশ্য বেশ কিছু প্রশ্নের সদোত্তর দিতে পারেননি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই খলিল মামলাটির তদন্ত করছেন। তিনি বলেছেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় গত শুক্রবার দুপুরে আলুকদিয়ার এসএস এন্টারপ্রাইজের গোডাউনটি সিলগালা করা হয়। আটককৃত মাছের ও মুরগির খাদ্যগুলো স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। গতকাল রোববার ফিড কোম্পানির মার্কেটিং ম্যানেজার নূরে রাসুল মামলা দায়ের করেন। তিনি রংপুর পীরগঞ্জের ছেলে। চুয়াডাঙ্গা জোনে দায়িত্বপালন করেন। তার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে গতকাল ওই মাছের ও মুরগির খাবার উদ্ধার করে থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। মামলার আসামি চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়ার বাজারপাড়ার কামাল উদ্দীনের ছেলে মাসুদ রানা আপেল। পুলিশ বলেছে, আপেল আত্মগোপন করায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার দুপুরের পর যখন গোডাউন ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়, তখন আপেল সেখানে হাজির হলেও পুলিশ আসছে খবরে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। এরপর থেকে তার প্রকাশ্যে দেখা মিলছে না।