স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে তরুণ রাজনীতিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে জাতি অর্ধেকটা এগিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে রূপকল্প-২০২১ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে এবং বাংলাদেশ একটি পরিপূর্ণ ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সে কারণেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় একই দলের ধারাবাহিকতা দরকার মন্তব্য করে জয় বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আবারও অধিষ্ঠিত হলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক জনসভায় এবং ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে তিনটি পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলের হতাশাব্যঞ্জক চিত্র তুলে ধরে জয় বলেন, আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে প্রতিটি মানুষের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। আয় বৃদ্ধি করা হবে দ্বিগুণ। প্রতিষ্ঠা করা হবে কম্পিউটার, টেলিভিশনসহ ইলেকট্রনিক্স কারখানা। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। আর বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নেমে আসবে অন্ধকার। আবার দেশে ফিরে আসবে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, বোমা হামলা, লোডশেডিং। আবার কালো দিন। আবার হাওয়া ভবন।
তিনি বলেন, আমরা ওয়াদা করেছিলাম, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করার। সে ওয়াদা রক্ষা করেছি। দেশের উন্নয়ন করার কথা ছিলো। আমরা করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিলো, আমরা করেছি। মোবাইলে টাকা পাঠাতে পারছেন। সব শ্রেণির মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছি। ফের ক্ষমতায় এলে বেতন-ভাতা আরও বাড়াবো। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলেন, বিএনপির আমলে সন্ত্রাস ছিলো, প্রতি বছর বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা করা হয়। আহসানউল্লাহ মাস্টার, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। গ্রেনেড হামলা করে আমার মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেখানে ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। ৪শ নেতাকর্মী আহত হন। সবই হয়েছিল হাওয়া ভবনের পরিকল্পনায়। একাত্তরের অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করা এবং ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে আবারও আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে ভোট চান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলের কথা তুলে ধরে জয় বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। তারা আবার ক্ষমতায় গেলে দেশ আবারও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে। জয় বলেন, বিএনপি আমলে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। আমরা সেই সন্ত্রাস কমিয়েছি। গত সাড়ে চার বছরে একটি বোমা হামলাও হতে দেইনি। তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে নারীরা ক্লাস ফাইভের বেশি পড়তে পারবে না, চাকরি করতে পারবে না। তার মানে বিএনপি ক্ষমতায় এলে মেয়েরা চাকরি হারাবে, তাদের আয়-উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, তা বন্ধ হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি তাও বন্ধ হয়ে যাবে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মিশনে জনতার ঢল নামে ময়মনসিহ জেলায়। টঙ্গী থেকে শুরু করে মুক্তাগাছা পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র। সজীব ওয়াজেদ জয় রোববার সকালে গণভবন থেকে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা হন। তাকে স্বাগত জানিয়ে পথে পথে হাজার হাজার ব্যানার, পোস্টার, প্লাকার্ড ও ফেস্টুন লাগানো হয়। নৌকা প্রতীক সংবলিত তোরণও দেখা গেছে। রাস্তার দুধারে সব শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ও স্লোগান দিয়ে জয়কে স্বাগত জানান। তার গাড়িবহরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছাও জানানো হয়। এ সময় জয়ও গাড়ির মধ্য থেকে হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান।
বেলা ১১টার দিকে টঙ্গী টিঅ্যান্ডটি কলোনি মাঠের প্রথম পথসভায় উপস্থিত হলে স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল তার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেন। এরপর জয় সেখানে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তৃতা করেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তার চান্দনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপস্থিত হয়ে সেখানে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আরেকটি পথসভায় বক্তব্য দেন। উভয় পথসভাই হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে জনসভায় রূপ নেয়।
এসব পথসভায় সমবেত মানুষের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চেয়ে জয় বলেন, আপনারা ওয়াদা করেন আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন কিনা। এ সময় উপস্থিত জনতা দুই হাত তুলে তার বক্তব্যে সাড়া দেন। গাজীপুরে দুটি নির্ধারিত পথসভা শেষ করে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ভালুকায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর অনুরোধে আরও দুটি অনির্ধারিত পথসভায় যোগদান করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ভালুকা বাজারের রায়হান মার্কেটের সামনে পথসভায় ঘরে ঘরে মানুষের কাছে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
গাজীপুর পথসভা শেষ করে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে তিনি দুটি অনির্ধারিত সভায় বক্তব্য দেন। আবু রায়হান মার্কেট ও ভালুকায় তিনি হ্যান্ডমাইকে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা মার্কার জন্য ভোট চান। দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দেয়ার বিকল্প নেই। ময়মনসিংহ পৌঁছে জেলা সার্কিট হাউসে দুপুরের খাবারের পর মুক্তাগাছা উপজেলার জনসভায় অংশ নেন জয়। কেএম খালিদ বাবু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভা উপলক্ষে রাম কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মুক্তাগাছার সমাবেশ শেষে তিনি সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জিমনেশিয়ামে এক কর্মিসভায় যোগ দেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের সফরসঙ্গী ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা একেএম এনামুল হক শামীম, আবদুস সোবহান গোলাপ, এসএম কামাল হোসেন, লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, জোবায়দুল হক রাসেল, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (গণমাধ্যম) মাহবুবুল হক শাকিল, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহসম্পাদক হাসিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা তারেক শামস খান হিমু প্রমুখ।
যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার টঙ্গী থেকে জানান, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট সংলগ্ন টিএসএস কলোনি মাঠে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত পথসভায় টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক এমপি কাজী মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক মোঃ আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ হারুনুর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবু মোল্লা প্রমুখ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমএম হেলাল উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু।
টাঙ্গাইলে সমাবেশ আজ: আজ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল মধুপুর রানীভবানী মাঠে সজীব ওয়াজেদ জয় সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। ১২টায় রানীভবানী হলে কর্মিসভায় অংশগ্রহণ করবেন। বিকাল ৪টায় মির্জাপুর আবদুল গনি হাইস্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ৫টায় গাজীপুর কালিয়াকৈর পথসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়।
চন্দ্রায় আজ পথসভা: সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগমন উপলক্ষে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সজীব ওয়াজেদ জয় সোমবার উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে কালিয়াকৈরের চন্দ া এলাকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হাইস্কুল মাঠে পথসভায় বক্তব্য দেবেন। ইতিমধ্যে ওই পথসভাকে স্বার্থক করতে আওয়ামী লীগের ৩টি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ও ২য় সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক। ৩য় সভায় সভাপতিত্ব করেন কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আবদুল আজিজ।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলের পথে রাজনৈতিক সফরকালে তিনি মধুপুর রানী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিতব্য জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক সার্বক্ষণিক বিষয়টি তদারক করছেন।
টাঙ্গাইলে সাজ সাজ রব: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগমন উপলক্ষে টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সাজ সাজ রব উঠেছে। আজ সোমবার জয় টাঙ্গাইলে আসছেন। নেতাকর্মীরা জানান, সজীব ওয়াজেদ জয়ের টাঙ্গাইলে আগমন রাজনীতিতে নতুন বার্তা বয়ে আনবে।
ময়মনসিংহের কর্মী সমাবেশ : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান আতাউল করিম খোকন/অমিত রায় জানান, সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমরা আর ব্যর্থ রাষ্ট্রে ফিরে যেতে চাই না। নৌকায় ভোট দিলে আর কোনো দিন দরিদ্রতা ফিরে আসবে না। আগামীতে ক্ষমতায় এলে আপনাদের আয় দ্বিগুণ করে দিব। রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে আয়োজিত ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেন। কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি। বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার। এ সময় সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ, রেজা আলী এমপি, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক শামীম, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কায়সার, ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম বদিউল আলম সোহাগ ও সেক্রেটারি সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউসে পৌঁছলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফুলের নৌকা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা মোহিত উর রহমান শান্ত।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে চার বছরের উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে প্রতিবছর মঙ্গায় মানুষ মারা যেত খাবারের অভাবে, চালের অভাবে। গত সাড়ে চার বছরে একটি মানুষ না খেয়ে মরেনি।