মাথাভাঙ্গা মনিটর: আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫’র দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা চালাতে সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারত। গতকাল রোববার সকাল আটটা ৪৩ মিনিটে বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলের রাজ্য উড়িষ্যার হুইলার দ্বীপের ইনটিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর) থেকে তিনস্তর বিশিষ্ট দূর পাল্লার এ শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। অগ্নি-৫’র নকশা প্রণয়ন এবং নির্মাণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের (ডিআরডিও) বিজ্ঞানীরা। উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে দাবি করে ডিআরডিও’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এ ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৫০ টনের মতো। এটি প্রায় দেড় টন ওজনের মতো ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এবং পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্রটির আওতায় পুরো এশিয়া মহাদেশসহ ইউরোপ এবং আফ্রিকার একাংশ রয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্রটি কেবল বেইজিং এবং সাংহাইতেই নয়, চীনের সর্ব উত্তরের হাবিন সিটিতেও আঘাত হানতে সক্ষম। ধারণা করা হচ্ছে, এশীয় অঞ্চলে চীনের সামরিক কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার জন্যই সামরিক অগ্রগতি অর্জনে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। জানা গেছে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। তবে ২০১৪-১৫ সালের মধ্যে সামরিক বাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্ত হওয়ার আগে আরও বেশ কয়েকবার পরীক্ষা চালানোর চিন্তা করছে ডিআরডিও। বর্তমানে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম অগ্নি-৩ দেশটির সবচেয়ে বেশি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এর আগে ২০১২ সালের এপ্রিলে অগ্নি-৫’র প্রথম দফা পরীক্ষা চালানো হয়।