মেহেরপুরে শিক্ষকের হাতে শিক্ষার্থী প্রহৃতের অভিযোগ :তদন্ত কমিটি গঠিত

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের হাতে প্রহৃত হয়েছে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্র। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে মেহেরপুরজুড়ে। ঘটনার বিচার চেয়েছেন স্কুলছাত্রের পিতা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। প্রতিষ্ঠান প্রধান সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা বলেছেন।

জানা যায়, মেহেরপুর জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলন অধিদপ্তরের প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নূর আরাফাত তুর্য্য। সে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির (দিবা) ‘খ’ শাখার একজন নিয়মিত ছাত্র। গত সোমবার ক্লাস চলাকালে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল হক তুর্য্যকে অকারণে মারধর করেন। এঘটনায় তুর্য্য অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং খবর পেয়ে তার পিতা স্কুল থেকে নিয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে তুর্য্যকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তুর্য্য এখনো অসুস্থ রয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।

তুর্য্য’র পিতা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার ছেলের এলার্জি রোগের কারণে নাকে হাত দিয়ে চুলকাচ্ছিলো। এসময় আলোচিত শিক্ষক আব্দুল হক স্কেল দিয়ে তাকে মারধর করেন। একটি স্কেল ভেঙে গেলেও তিনি আরো একটি স্কেল ব্যবহার করেন। তিনি বিচার চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা খানম সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীদের মারার নিয়ম নেয়। কীভাবে শিক্ষক আব্দুল হক শিক্ষার্থী তুর্য্যকে মারলেন তা জানিনা। শুনেছি এবং সাথে শিক্ষার্থীর পিতার একটি অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু বিচারের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, আলোচিত শিক্ষক আব্দুল হক কয়েক বছর আগে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তার কিছু অনিয়ম ও অসৎ আচরণের কারণে তার বিরুদ্ধে ছাত্রীরা আন্দোলন করে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে অন্যত্র বদলি করেন। সম্প্রতি তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে বদলি হয়ে মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে আসেন।