ঢাকায় ২১ আগস্টের আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী :
খালেদা জিয়াসহতার মন্ত্রীরা ও তারেক গ্রেনেড হামলায় জড়িত
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক:ভয়াল ২১ আগস্টগ্রেনেড হামলার দশম বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে স্মরণ ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। ঢাকার বঙ্গবন্ধুএভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায়প্রধানমন্ত্রীআওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,পঁচাত্তরেবঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেনতেমনি ২০০৪সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারস্ত্রী খালেদা জিয়া,পুত্র তারেক ও তত্কালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারেরমন্ত্রিসভার সদস্যরা জড়িত ছিলেন। জিয়া পরিবারকে খুনি পরিবার হিসেবেআখ্যায়িত করে তিনি বলেন,এই খুনি পরিবারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।বাংলার মাটিতে কোন খুনি-সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না।তিনি আরো বলেন,আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সেদিন গ্রেনেড হামলাচালানো হয়েছিলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার শিকারদের স্মরণে ও হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিটু, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক খুস্তার জামিল, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুবায়েত বিন আজাদ সুস্তির, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক টিটু, ক্রীড়া সম্পাদক ফিরোজ, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক হিমেল, স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজু, আলমডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ডন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তপন রেজা, সাবেক সভাপতি শাহীন, তমাল, পিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ও গবেষণা সম্পাদক মিল্টন। বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ, শিমুল, লিপু, রিজভী, টোকন, রানা, জিম, সম্রাট, সহসম্পাদক ফয়সালসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক।
চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার ‘জাগো যুব সংঘ’র আয়োজনে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের অন্যতম নেতা তরুণ ক্রীড়া সংগঠক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। বিপুল হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুবায়েত বিন আজাদ সুস্তির,স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফটিকুজ্জামান, যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুম,মতিয়ার রহমান,সাবান আলী ও পৌর ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক খাইরুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন,সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে সেদিন বিএনপি-জামায়াত নেতাদের যোগসাজশে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। তাদের ইচ্ছা ছিলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে চিরতরে ধ্বংস করা ও নেতৃত্ব শূন্য করা। কিন্তু জঙ্গিবাজের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা জামায়াত-বিএনপির সে আশা পূর্ণ হয়নি। সেদিনের জঘন্যতম হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। কা-পুরুষের মতো হামলা চালিয়ে কেউ কোনোদিন সফল হতে পারেনি। গণতন্ত্রের পথ বেয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো বাংলার জনগণ ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। আজকের এই শোকসভায় আমরা শপথ নিয়ে বলতে চাই, শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ। সভার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা করেন জাগো যুবসংঘের আহ্বায়ক বিপুল শরীফ।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে শোকসভা ও তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় আলোচনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা মীর মাহতাব আলী,সাধারণ সম্পাদক উথলী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল,সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,হাসাদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জসিম উদ্দিন জালাল,পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম।
উপজেলা যুবলীগ যুগ্মআহ্বায়ক আ. সালাম ইশার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা খাইরুল বাশার শিপলু,শাহ আলম, শরিফুল আলম, ছাত্রলীগ সভাপতি সোয়েব আহমদ অঞ্জন, সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম রাজা প্রমুখ।
ইবি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শোকর্যালি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। র্যালিটি সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একই স্থানে সমাবেশে মিলিত হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার। উপস্থিত ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান,রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. মসলেম উদ্দিন,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী,শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী,ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস মো. সালেহ্,শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আরফিন,সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন,সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. উকিল উদ্দিন,সাধারণ কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আতিয়ার রহমান,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. শামীম হোসেন খানসহ সকল পর্যায়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
র্যালি শেষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশের শুরুতে ২১ আগস্ট সকল শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন এবং সমাবেশ শেষে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। শোকর্যালির শুরুতে গ্রেনেড হামলাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক শামীম হোসেন খান,যুগ্মআহ্বায়ক আবুজার গিফারি গাফফার,আহমদ মাহফুজ সাজন,সজিবুল ইসলাম সজিবসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ভালাইপুর প্রতিনিধি/ হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুবলীগ আয়োজনেগ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন।বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীর,জেলা যুবলীগনেতা চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান,জেলা যুবলীগ নেতা আব্দুর কাদের,তারেক,আবু তাহের আবু,জাকারিয়া,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রশীদ মাসুম,চুয়াডাঙ্গা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক। বক্তব্য রাখেন গাংনী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিদয় হোসেন ফারুক,মিলন হোসেন,আক্তার হোসেন,নুর আমীন,চিৎলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম,রবিউল ইসলাম ঝন্টু,মহিবুল হক মন্টু। আলোচনা শেষে গাংনী ইউনিয়নের জামায়াত-বিএনপির ৫০ নেতাকর্মী প্রধান অতিথির হাতে হাতরেখে যুবলীগে যোগদান করেন। সার্বিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক আবু তাহের আবু।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে দর্শনায় আ.লীগ এবং ছাত্রলীগ পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দর্শনা পৌর আ.লীগের আয়োজনে দর্শনা রেল বাজারের চেয়ারম্যান মার্কেটের ছাদে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদসভার সভাপতিত্ব করেন আ.লীগ নেতা আমীর হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রসাশকদামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান,উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,আ.লীগ নেতা এরশাদ আলী মাস্টার,মোজাহারুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী,ওমর আলী,সাইদুর রহমান,তক্কেল আলী,আ. কুদ্দুস, আ. গফুর,সরোয়ার হোসেন,ফরজ মল্লিক,সাবেক শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন নফর,সাইফুল ইসলাম হুকুম,রিপন,বাক্কা,আলাউদ্দিন,আক্তার,ছাত্রলীগ নেতা মিল্লাত,আকামত প্রমুখ।
এছাড়া দর্শনা পৌর আ.লীগের আয়োজনে সন্ধ্যায় পৌর আ.লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদসভার সভাপতিত্ব করেন পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম। আলোচনা করেনদামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম,বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী,আ.লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু,শফিকুল আলম,মোশাররফ হোসেন,ফজলুল হক,রবিউল হালসানা,আজাদ হোসেন,হাবীল উদ্দিন,হবা জোয়ার্দ্দার,যুবলীগ নেতা আ. হান্নান ছোট,আজিজুর রহমান বাবু,সাবির হোসেন মিকা,শেখ আসলাম আলী তোতা,ইকবাল হোসেন,মামুন শাহ, রফিকুল,রেজাউল ইসলাম,ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ববি,নাহিদ পারভেজ,রুবেল প্রমুখ।
এদিকে সকাল ১০টার দিকে দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের আয়োজনে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদসভার সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান। আলোচনা করেন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু,ছাত্রলীগ নেতা প্রভাত আলম,রায়হান হোসেন,রনি,রবিউল,মোহাম্মদ,মাসুম,বাবুল,রিফাত,হিমেল,রকি,রুমেল,মামুন,সুজন,সুমন,আলী আবরার অপু প্রমুখ।