চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে ওপেন হাউজ ‘ডে’তে পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান

 

সমাজ সুন্দর রাখতে পুলিশের কাজে চাই সকলের সহযোগিতা

বেগমপুর প্রতিনিধি:‘এ সমাজ আপনাদের। সমাজ গড়ার দায়িত্বও আপনাদের। সমাজ সুন্দর রাখতে হলে পুলিশের পাশাপাশি চায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা। সমাজ থেকে অপরাধ, মাদক, দুর্নীতি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র রুখতে হলে সমাজে যারা নেতৃত্ব দিয়ে থাকে তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ শাসক নয়, জনগণের বন্ধু ও সেবক হয়ে কাজ করতে চায়। পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে চায়। সীমিত সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মধ্যদিয়ে কাজ করতে হয় আমাদের। কতিপয় ব্যক্তির কারণে একটি গোষ্ঠীর সুনাম বিনষ্ট হবে তা হতে দেয়া যাবে না। মানুষ তাদের সমস্যাগুলো যেন নির্দ্বিধায় বলতে পারে তার জন্য আজকের এ আয়োজন।’গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী স্কুলমাঠের ওপেন হাউজডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপরোক্ত কথাগুলো বলনচুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সির উপস্থাপনায় পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকার সার্বিক বিষয় নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার, সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোবারক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল্লাহ, তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মাস্টার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেনআজগার আলী, ফজলু মিয়া, আব্দুর রশিদ, আব্বাছ আলী, কায়েস উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, আবুসালে, আলীকদর, আসাবুল, মিজানুর রহমান, আব্দুল বারি বিশ্বাস, সেলিম, ছলিম প্রমুখ। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ইমাম শাহাদত হোসেন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, ব্রিটিশ আমলে সমাজের আইনশৃঙ্খলা ভালোরাখতে গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন নামে সংগঠন করা হতো। এর সুফল পাওয়ার পর ১৮৬১ সালে অর্থাৎ দেড়শ বছর আগে ব্রিটিশ শাসনামলে পূর্ণাঙ্গ পুলিশবাহিনী গঠন করে। সেই থেকে পুলিশ মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। কিছুযে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে না তা নয়। তবে সবমিলেয়ে সুনাম-দুর্নাম মিলে আজও পুলিশের ওপর মানুষের আস্তা আছে সেই আস্তা আরও বৃদ্ধি পায় সে জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জনশ্রুতি আছে বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া এবং রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে রয়েছে মাদকের ঘাঁটি। এ ঘাঁটি উচ্ছেদে ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে পদক্ষেপ। হাতে গোনা কয়েকজন মাদক চোরাকারবারীর কাছে পুরো সমাজ জিম্মি হতে পারেনা। চোরাকাবারীরা যতো শক্তিশালীই হোকনা কেন তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করা হবে। এর সাথে যদি পুলিশ জড়িত থাকে সে বিষয়ে আমাকে অবগত করবেন, আমি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ অপরাধীদের জন্য কেউ সুপারিশ করবেন না।

সুধীমহল প্রশ্ন করে, অনেক সময় সাধারণ মানুষ মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে থাকে। এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, সে বিষয়টি আমাকে অবহিত করবেন।যে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এ ধরনের কাজ করবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সর্বশেষে প্রতিটি গ্রামে রাত পাহারাদার দল গঠন করার জন্য স্থনীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মনির হোসেন, তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ওলিয়ার রহমান, হিজলগাড়ি ফাঁড়ি ইনচার্জ এএসআই মুহিতুর রহমান মুহিতসহ ক্যাম্প ও থানা পুলিশের সদস্য।