পাম্প আর বাস মালিকদের কাছে জিম্মি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

 

ঝিনাইদহ অফিস: রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ যেকোনো অজুহাতেই যখন তখন ক্যাম্পাস বন্ধ ও হল বন্ধের সর্বোচ্চ রেকর্ড রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের। তার ওপর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা না থাকায় সম্পূর্ণ পরিবহন নির্ভর হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এমতাবস্থায় পান থেকে চুন খসলেই বিশ্ববিদ্যালয়কে গাড়ি দেয়া বন্ধ করে দেন তেলের পাম্প আর পরিবহন মালিকগণ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অজান্তেই হঠাত করে যেকোন দিন বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়। এতে সংশ্লিষ্ট সকলের ভোগান্তির যেমন শেষ নেই তেমনি অবিরাম গতিতে বাড়ছে সেশন জট।

প্রতিবারের মতো কুষ্টিয়া হতে ভাড়া করা গাড়িগুলো ক্যাম্পাসে না আসায় অঘোষিত বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাসময়ে পরিবহন মালিকদের ভাড়া পরিশোধ করলেও পরিবহন মালিকরা তেলের পাম্প মালিকদের যথাসময়ে বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় পাম্প মালিকরা তেল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে কুষ্টিয়ার পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালাতে পারেনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কুষ্টিয়া থেকে ভাড়া করা ১৭টি গাড়ি ক্যাম্পাসে না আসায় অচল হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। এটা কোনো একদিনের ঘটনা নয় বরং নিয়মতান্ত্রিক ঘটনার পরম্পরা মাত্র। আজ হয়তো তেলের সমস্যা, কাল পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট, পরদিন হয়তো যাত্রীর সাথে মারামারি ইত্যাদি যেকোনো অজুহাতেই বিশ্ববিদ্যালয়কে গাড়ি দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। নিয়মিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় সংশ্লিষ্টদের অভিমত, অপরাজনীতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ পরিবহন মালিকদের কাছেও জিম্মি। আর প্রশাসনের নির্বিকার আচরণে এ জিম্মি দশা থেকে বের হওয়ারও বুঝি কোনো উপায় নেই।