মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাক্কা ২৮ বছর অপেক্ষার পর আসা এক জয়। ক্রিকেট-তীর্থ লর্ডসে প্রায় তিন দশকপর জেতার আনন্দে ভারত কি খেই হারিয়ে ফেলেছিলো?লর্ডস টেস্টের পর পাঁচ দিনেরবিরতি ছিলো। এ পাঁচ দিনে ভারত করেছেটা কী?কেবলই কি লর্ডসে জেতার আনন্দেমশগুল ছিলো? এসব প্রশ্নই এখন সুনীল গাভাস্কারের। সাউদাম্পটন টেস্টে হেরেছেবলেই নয়, হারার ধরনটাও এতোটাই বাজে ছিলো,এ সিরিজের লাগাম নিজে থেকেই ভারতসমর্পণ করলো ইংল্যান্ডের হাতে। দলের অসহায় আত্মসমর্পণ কিছুতেই মানতে পারছেননা ‘লিটল মাস্টার’।চতুর্থ দিন শেষেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিলো ভারত ম্যাচটাহয়তো বাঁচাতে পারবে না। তাই বলে বাকি ছয় ব্যাটসম্যান কোনো চেষ্টাই করবে না?ম্যাচটা হেরেই গেছি,ধরে নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করে যাবে?কিছুতেইমানতে পারছেন না গাভাস্কার,শেষ দিনে লাঞ্চের আগেই ম্যাচটা হেরে যাওয়াতেইপরিষ্কার, আমাদের মধ্যে সামান্যতম প্রতিরোধও ছিলো না। এক ফোঁটাও লড়াই দেখাযায়নি। এটাই সবচেয়ে হতাশার। ভারত একেবারেই নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছে।
১০টেস্ট পর জেতা ইংল্যান্ড এখন মানসিকভাবেও এগিয়ে থাকবে বলে মনে করেন‘সানি’,লর্ডসে ভারত ইংল্যান্ডকে ঠেসে ধরেছিলো। জানি না ওই টেস্টের পরেরপাঁচ দিন ধরে তারা কী করেছে। সাউদাম্পটনে ওরা একেবারেই বাজে খেলেছে। আসলেসেই ত্রিশের দশক থেকেই ভারতীয় দলের একটাই সমস্যা- আত্মতৃপ্তি।আরেকসাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী মনে করেন,দলে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি, ‘দলেএখন নতুন কিছু পরিকল্পনা দরকার। শুরুতে গম্ভীরকে নামানো যেতে পারে।ইংল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও অ্যারনকে একটা সুযোগ দেয়া দরকার।সৌরভঅবশ্য আশাবাদী এ সিরিজে ভারত ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস সন্দিহান। পত্রিকাটি লিখেছে,একটা টেস্ট ম্যাচ অনেক কিছুই বদলেদিতে পারে।