স্টাফ রিপোর্টার: ভুয়া মুজিবনগর কর্মচারী নিয়োগ বাতিল হচ্ছে! নিয়োগ বাতিলের পাশাপাশি তাদেরবিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজকরছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে দাবি করে তাদের নিয়োগেরনির্দেশনা চেয়ে দু’শকর্মচারী আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০১০ সালেআপীল বিভাগের রায়ের ভিত্তিতে ১৮০ মুজিব নগর সরকারের কর্মচারীদেরসাবরেজিস্টার হিসেবে নিয়োগের লক্ষ্যে একটি যাচাইবাছাই কমিটি গঠন করা হয়।কমিটি যাচাই-বাছাই করে এই ১৮০ কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ৩০ জনকে প্রকৃতমুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে চিহ্নিত করে। তৎকালীন আইন সচিব কাজী হাবিবুলআউয়ালের নেতৃত্বে এই যাচাইবাছাই কমিটির আপত্তি উপেক্ষা করে রাজনৈতিকবিবেচনায় প্রায় সবাইকে নিয়োগ দেয়া হয়। তারা সবাই সাবরেজিস্টার হিসেবে নিয়োগপান।
নিয়োগের কিছুদিন পরেই নিয়োগপ্রাপ্তরা ভুয়া,এদের অনেকেই মুজিবনগর কর্মচারীনয় এবং মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে তারা যে সার্টিফিকেট প্রধান করেছে তাওভুয়া এমন অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তদন্তে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একাধিক তদন্তকমিটি গঠন করা হয়। এক তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে,নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই ভুয়া মুজিবনগর কর্মচারী। পর্যালোচনা করে দেখাগেছে নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকেরই মুক্তিযুদ্ধের সময় বয়স ছিলো ৮/১০ বছর।ইতোমধ্যে ভুয়া মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া চার কর্মচারীরবিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
সূত্র জানায়,মুজিবনগর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সকলের বিষয় তদন্ত করাহচ্ছে। এর মধ্যে যারা প্রকৃত মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী তারা সম্মানেরসাথে চাকরিতে বহাল থাকবেন। আর যারা ভুয়া মুজিবনগর সরকারের কর্মচারীতাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।