সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী প্রার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) বা সমমানের ডিগ্রি করা হয়েছে। বর্তমানে নারীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক (এসএসসি)। পুরুষ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের মতোই দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি রাখা হয়েছে।
এসব বিষয় রেখে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৩’ চূড়ান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন বিধিমালায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, পিছিয়ে পড়া নারীদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এত দিন এসএসসি উত্তীর্ণ নারীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশ নারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি বা তারও বেশি। জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে প্রাথমিক শিক্ষাকে পর্যায়ক্রমে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। এসব কারণেই প্রাথমিকে নারী শিক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, নতুন বিধিমালা হওয়ার ফলে ১৯৯১ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা বাতিল হয়ে যাবে। তবে ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, সেটি আগের যোগ্যতা অনুযায়ীই হবে। পরবর্তী সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হবে নতুন বিধিমালার আলোকে।