বখাটেদের উৎপাত : ঝিনাইদহের মহেশপুরে কলেজে যাওয়া বন্ধ এক শিক্ষার্থীর

 

ঝিনাইদহ অফিস: বখাটেদের উৎপাতে ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক শিক্ষার্থীর কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। মহেশপুর শহীদ জিয়া কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে। কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বাণিজ্য বিভাগের নিয়মিত ছাত্রী ও উপজেলার গোয়ালহুদা গ্রামের শাহাজান আলী মেয়ে এরিকা জাহান অনু এখন গৃহবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত রোববার একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে জুয়েল কলেজছাত্রী এরিকা জাহান অনুর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে শারিরিক নির্যাতন করে। এ ঘটনায় এরিকার পিতা শাহাজান আলী বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এরিকার পরিবারের অভিযোগ ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি এরিকা ও তার পরিবারের ওপর হামলা এবং মারপিটের অভিযোগে জুয়েল রানা ও তার পিতা আব্দুল জব্বারের নামে থানায় মামলা হয়েছিলো। এর সাত মাস পর গত রোববার জুয়েল আবারো কলেজে যাওয়ার পথে এরিকার ওপর হামলা করে শারিরিক নির্যাতন করে। তার পর থেকে এরিকার কলেজে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। কলেজছাত্রী এরিকা জাহানের পিতা শাহাজান আলী জানান, জুয়েল প্রায়ই তার মেয়েকে উত্যাক্ত করতো ও বিয়ের প্রস্তাব দিতো। তার কথায় রাজি না হওয়ায় প্রায় হত্যার হুমকি দিতো। ঠিকমতো কলেজে যাওয়া-আসা করতে পারতো না। এ ঘটনায় এর আগে আমাদের ওপর হামলা করে মারপিট করে। সম্প্রতি সেই মামলায় জামিন নিয়ে এসে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জুয়েল ও তার বন্ধুরা বার বার হুমকি দিচ্ছে মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে কলেজে যাওয়ার পথে জুয়েল এরিকাকে মারপিট করে।

শহীদ জিয়া কলেজের অধ্যক্ষ শওকত আলী জানান, জুয়েল প্রায়ই এরিকাকে উত্যাক্ত করতো তা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলো। পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অফিসিয়ালি বিষয়টি জানিয়েছিলাম। রোববার সকালে কলেজে আসার পথে জুয়েল আবারো তার ওপর হামলা করে শারিরিক নির্যাতন করে। মহেশপুর থানার ওসি আকরাম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমরা অভিযুক্ত জুয়েলের বিরুদ্ধে সব রকম আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।