স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ২২টি ইটভাটার লাইসেন্স যথাসময়ে নবায়ন না করায় লাইসেন্সগুলো বাতিল করা হয়েছে। বাতিলকৃত ইটভাটায় কোনো প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন গত ২৩ জুন এক আদেশের মাধ্যমে লাইসেন্সগুলো বাতিল করেন। এখন থেকে জিগজাগ পদ্ধতির ইটভাটা ছাড়া অন্য সকল প্রকার ইটভাটা আইনত অবৈধ বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জুডিসিয়াল শাখা থেকে জানা গেছে, জেলায় লাইসেন্সকৃত ইটভাটা রয়েছে ৪৪টি। এর মধ্যে লাইসেন্সের নবায়নের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও চুয়াডাঙ্গা জেলার ২২টি ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। ফলে, ওই ২২টি ইটভাটার লাইসেন্স জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৯ এর ৪ (৪) ধারা মোতাবেক ইটভাটার লাইসেন্সগুলো বাতিল ষোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার লাইসেন্স বাতিলকৃত ভাটাগুলো হলো-চুয়াডাঙ্গা সদরে ৮টি, আলমডাঙ্গায় ৫টি, দামুড়হুদায় ৭টি ও জীবননগরে ২টি ইটভাটা রয়েছে। এগুলো হলো, চুয়াডাঙ্গা সদরে আলুকদিয়ার আব্দুল হালিমের মেসার্স মুন্সি এন্টারপ্রাইজ, সুমিরদিয়ার ইকবাল মাহমুদের মেসার্স মাদানী এন্টারপ্রাইজ, সুমিরদিয়ার আলামীন শেখের ছেলে আবুল হোসেন ও দরুদ হোসেনের ভাটা,ডিহি গ্রামের আব্দুর রহমানের মেসার্স আর এম.কে ব্রিকস, মোমিনপুরে মিনহাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে সাইফুল আহমেদ নাসিমের ফ্রেন্ডস ইন্টান্যাশনাল, কোর্টপাড়ার হাসান ইমাম বকুলের মেসার্স এপেক্স ব্রিকস, দৌলতদিয়াড়ের মোশারফ হোসেনের ভালাইপুর মোড়ের মেসার্স এসবিএম ব্রিকস-২ ও ভুলটিয়া গ্রামের রুহুল আমীনের মেসার্স একতা ব্রিকস।
আলমডাঙ্গা বাবুপাড়ার হেলাল উদ্দিনের ভাটা, বগাদীর রায়হান উদ্দিনের রাইজিং কনস্ট্রাকশন, মুন্সিগঞ্জের আবিদুদ্দোজার ভাটা, আলমডাঙ্গার আব্দুল খালেকের ভাটা ও নওদা বণ্ডবিলের ঠাণ্ডু রহমানের ভাটা।
দামুড়হুদা কার্পসডাঙ্গার ফকির মোহাম্মদের মেসার্স আব্দুল মান্নান অ্যান্ড ব্রাদার্স, দামুড়হুদার আবুল কাশেমের মেসার্স শেখ ব্রিকস, দর্শনা ইদ্রিস আলীর মেসার্স স্টার ব্রিকস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স, দশমীপাড়ার সাইদুর রহমানের মেসার্স নেভী ব্রিকস, জয়রামপুরের খাজা নাসির উদ্দিনের এম.আর ব্রিকস, পোড়াপাড়ার ইকবাল মাহমুদের রাজা ব্রিকস ও লোকনাথপুরের এমএ হাসেম, বখতিয়ার হোসেন ও রফিকুল আলমের মেসার্স বেস্ট ব্রিকস।
জীবননগরে বাঁকার হজরত আলীর মেসার্স অনিক ব্রিকস ও কাশিপুরের সরকার নাসির উদ্দিনের মেসার্স সরকার ব্রিকস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব জানান,‘সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫০/৬০ জন। বর্তমানে জিগজাগ পদ্ধতির ভাটা চালু রাখতে সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবসা পরিচালনা করতে আগ্রহী তারা। যেসকল ব্যবসায়ী ভাটা চালু রাখতে চাইবে তাদেরকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিগজাগ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এর বাইরে যেসকল ভাটা থাকবে তা অবৈধ।’