আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি ইচ্ছের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে : বিপত্তি
স্টাফ রিপোর্টার: ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ায় বিয়ের তিন দিনের মাথায় বিষপান করা শোভাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। একবার হাসপাতালে, একবার বাড়ি নেয়ার এক পর্যায়ে শোভা গতকাল শনিবার কুস্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
শোভা চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার গোয়ালবাড়ি গ্রামের আশাদুল ইসলামের মেয়ে। বয়স ১৮ বছর বলে দাবি করা হলেও সে ছিলো মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সেলিম হোসেনের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের তিন দিনের মাথায় গত ৮ জুলাই পিতার বাড়িতে শোভা বিষপান করে। ওইদিন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসার দু দিনের মাথায় বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরে তাকে আবারও নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। চিকিৎসক রেফার করেন। নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুরে সে মারা যায়। নিজ গ্রামে গতকালই বিকেলে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি।
স্থানীয়রা অভিযোগ তুলে বলেছে, স্কুলছাত্রী শোভা অপূর্ণ বয়সে বিয়ে করতে রাজি ছিলো না। পরিবারের সদস্যরা খানেকটা জোর করেই বিয়ের আসনে বসায়। দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। বিয়ের পূর্ণ বয়স হয়নি বলে অভিযোগও উত্থাপন হয়। জন্মসনদ কৌশলে সংগ্রহ করা হয়। ফারুক হোসেন নামের একজন কাজি বাল্যবিয়ে পড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। বিয়ের পর স্বামীর ঘরে যেতে হয়। সেখান থেকে প্রথা অনুযায়ী পিতার বাড়িতে ফেরে। তাকে জোর করে বিয়েতে রাজি হতে বাধ্য করানোর অভিযোগ তুলে মায়ের সাথে রাগারাগিও করে। বিয়ে হয়েছে, স্বামীর সংসার করতে হবে। এরকম কড়া কথা বলার এক পার্যায়ে শোভা বিষপান করে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরে আবারও তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে না নিয়ে নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে।