স্টাফ রিপোর্টার: বিভিন্ন মহলের ব্যাপক সমালোচনার পর এবার নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী আচরণবিধির খসড়া তৈরির পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
কমিশন সূত্র জানায়, কমিশন আশা করছে শেষ মুহূর্তে হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আগামী নির্বাচন নিয়ে একটি সমঝোতা হবে। এজন্যই কমিশন বিধিমালা তৈরিতে এতোদিন মনোযোগ দেয়নি। তবে গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে সমালোচনা হওয়ায় তারা আচরণবিধি তৈরির কাজ শুরু করেছে।
কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতি হবে, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আলোকে মেয়াদ শেষের ৯০ দিন আগে নাকি পরে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সংসদ বহাল থাকবে কি-না, কিংবা রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে কি-না এ প্রশ্নগুলোর সমাধান নেই ইসির কাছে। ফলে সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে একাধিক আচরণবিধির খসড়া তৈরিতে হাত দিয়েছে কমিশন। তবে আগামী অক্টোবরের আগে আচরণবিধি চূড়ান্ত করতে চান না তারা।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, সংসদ নির্বাচন আয়োজনে দুই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। এ দু ধরনের প্রস্তুতি বলতে বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী অথবা রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন হতে পারে এমন চিন্তা থেকে সিইসি এ কথা বলেছেন।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন শেষ পর্যন্ত কোন পদ্ধতিতে হবে তা কমিশনের কাছে পরিস্কার না। বিষয়টি জানার পর আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে গত জুলাইয়ে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী ওই আচরণবিধির খসড়া তৈরি করা হয়। বিরোধী দল এ নিয়ে হৈ চৈ শুরু করে। পরে ইসি সে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন, আচরণবিধি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে প্রয়োজন পড়লে অসঙ্গতিগুলো সমন্বয় করা হবে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে। শেষ মুহূর্তে হলেও সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিবিদরা একটি সমঝোতায় পৌঁছবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।