মাথাভাঙ্গা অনলাইন : রাজৈর উপজেলার পূর্ব স্বরমঙ্গল গ্রামের এক হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে ভুয়া বিয়ে ও ধর্ষণের দায়ে ১ যুবকের যাবজ্জীবন এবং সহযোগিতার অভিযোগে ১ নারীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে এ রায় দেন।
মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রফিকুল কাজী ওরফে রফিক, মোহন মিয়া, নূরু কাজী, মাসুদ কাজী, খলিল হাওলাদার ও রুনা বেগম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা টেকেরহাট বন্দরের এক ব্যবসায়ীর মেয়ে স্থানীয় শহীদ সরদার শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করে একটি ভুয়া কাবিনে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে করে ধর্ষণ করে। ৯ দিন পর পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক ঘটনার সহযোগিতার অভিযোগে মোহন মিয়া, নূরু কাজী, মাসুদ কাজী, খলিল হাওলাদার ও রুনা বেগমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধরায় প্রত্যেককে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এছাড়া মূল অভিযুক্ত রফিকুল কাজী ওরফে রফিককে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ (৩০) ও ৯ (১) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।