স্টাফ রিপোর্টার: ত্রাণও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণসম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার উপস্থিতিতেই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানেমারামারি করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের দু নেত্রী। এরা হলেন- ধানমণ্ডি থানামহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা এবং ঢাকা মহানগর মহিলালীগের নেত্রী ফাতেমা জামান সাথী। গতকাল শুক্রবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিরনৃত্যকলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ দেশরত্ন পরিষদ আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতেরকূটনৈতিক অপতৎপরতা ও বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্তরায় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এহাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে মায়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা নিজেকে দেশরত্ন পরিষদের সভাপতি দাবি করেআয়োজক সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাশকেইডিয়ট বলে গালি দেন। পরে ঢাকামহানগর মহিলা লীগের নেত্রী ফাতেমা জামান সাথী তার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়েচড়-থাপ্পড় মেরে রাজিয়া মোস্তফাকে বের করে দেয়া হয়। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীমায়া আয়োজক সংগঠনকে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে যারা হাতাহাতিরঘটনায় জড়িত ছিলো তাদের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, দেশেশয়তান ভর করেছে। ঈদের পর দেশ থেকে শয়তান তাড়ানো হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়া ঈদের পরে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলন করার মতোশক্তি ও সাহস কোনোটাই আপনার নেই। আর আওয়ামী লীগ একটি বট গাছের মতো। এটাকেঠেলা দিয়ে ফেলানো যাবে না। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আপনি তোসারা দিন ঘুমান। বিকেল বেলা উঠে একটা মিথ্যা কথা বলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীরবিদেশ সফর নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরে যান, চীনসফরে যান। সেখান থেকে বাংলাদেশের জন্য সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে আসেন। সেখানেরাষ্ট্রপ্রধানরা তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেন। বিএনপির নেত্রী খালেদাজিয়াকে ছালার চটও বিছায়ে দেন না।সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাশেরসভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টাইকবাল সোবহান চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগরআওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুকুল চৌধুরী, অভিনেতা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঢাকামহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিকইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শাবান মাহমুদ প্রমুখ।এদিকে মারামারির ঘটনায় দুমহিলার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকপিনু খানকে ফোন করলে তিনি বলেন, রাজিয়া মোস্তফা ধানমণ্ডি থানা মহিলা লীগেরসাবেক সভানেত্রী। আর ফাতেমা জাহান সাথী নামে কেউ মহিলা লীগের রাজনীতি করেননা।