দেশে বর্তমানে জঙ্গলি শাসন চলছে : খালেদা

 

স্টাফ রিপোর্টার:দেশে বর্তমানে জঙ্গলি শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেছেনবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকালবৃহস্পতিবার রাতে পল্লবী ও রুপনগরথানা বিএনপি এবং সকল অঙ্গসংগঠন আয়োজিত বিহারি ক্যাম্পের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বেগমখালেদা জিয়া বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র ও সরকার বলে কিছু নেই। অত্যাচারীরা দেশশাসন করছে। দেশে বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই, সরকার যা বলে বিচারবিভাগ সেই ভাবেই বিচার কাজ করে। খালেদা জিয়া বলেন, বিহারি ক্যাম্পের ঘটনারমধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে অতীতের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতারা, আর মামলা দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের নামে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের অত্যাচার ও অন্যায়ের বিচার এ দুনিয়াতেই হবে এবং আখিরাতেওহবে। তবে আখিরাতের শাস্তিটা তাদের জন্য বেশি হবে। কারণ আখিরাতের আগুনে তারাযখন জ্বলবে তখন বলবে আমরা কী ভুলটাই না করেছি। তিনি বলেন, সরকারেরঅন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। আমরা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদনা করি তাহলে অন্যায়ের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।

কালশীর অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিহারির এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত এবং এ ঘটনার পিছনেকারা রয়েছে তা আমরা সবই জানি। সময় হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।তিনি অবিলম্বে কালশীর ঘটনার বিচার বিভাগীর তদন্ত কমিটিগঠন করে দল-মতের উদ্ধে উঠে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা দেয়ার জন্য সরকারেরপ্রতি আহ্বান জানান।ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আপনাদের সান্ত্বনা দেয়ার মতো ভাষা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আপনারা তখনই সান্ত্বনা পাবেন যখন অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে। দেশের অপহরণ, গুম ও খুনেরমধ্যে দিয়ে বিদেশি মহলের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে মন্তব্যকরেন খালেদা জিয়া। এ সময় বিহারি ক্যাম্পের নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরসদস্যদের ৬ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন খালেদা জিয়া।সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানেবেগম খালেদা জিয়া আগুনে পুড়ে নিহত ইয়াসিনের পরিবারকে ২ লাখ টাকা, পুলিশেরগুলিতে নিহত মো. আজাদের স্ত্রী সুলতানাকে ১ লাখ টাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ৩ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর বিএনপি পক্ষ থেকে নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পবিবারদের মাঝে কম্বল ও কাপড় বিতরণ করা হয়। সাক্ষাৎঅনুষ্ঠানে মৃত পরিবারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইয়াসিন ও তার পিতা ইসলাম, মো.শওকতের পিতা মাহতাব, নিহত মো. আজাদের পিতা আব্দুল সাত্তার।

ঘর পোড়াপরিবারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনমো. আনোয়ারের পিতা ফজলু রহমান, ময়নার পিতাআব্দুর রহমান, আহমেদের পিতা খুরশীদ আনোয়ার, সাহিদার পিতা হারুন, ভলুর পিতাহাবীব, বেচেনের স্বামী জাহাঙ্গীর, নাদিমের পিতা নাবি হাসান, ইব্রাহিমেরপিতা রহিম, জাফরের পিতা আকবর আলী।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে উপস্থিতছিলেন সুবহানের পিতা রাজন, শাকিলের পিতা মো. ওমর, জাবেদের পিতা আব্বাস খান, ছোটকির স্বামী হায়দার, লাইলুনের স্বামী রাসেদ, সাহিদের পিতা মো. ইসরাফিল, রানার পিতা বাবু, গুড্ডুর পিতা মাকসুদ আলী, বাবরের পিতা আজগর আলী, সামসাদরের পিতা ইদ্রিস, খুরশীদা বেগমের স্বামী আসলাম, মুন্নীর স্বামীগাফফার, বেবীর স্বামী ইউসুফ, মুন্নীর স্বামী জাহাঙ্গীর, কালীমের পিতা নাবীহাসান।
আহতের পরিবারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সরদারের পিতা ইসমাইল, জসুরপিতা ইসমাইল, মুন্নীর পিতা ইসমাইল, ফারজানার পিতা ইয়াসিন, আসলামের পিতাআলতাফ হোসেন। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত পরিবারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বদরুদ্দিনের পিতা আজহারুদ্দিন, আরজুর পিতা বদরুদ্দিন, সাব্বিরের পিতা মো.গোলাম, জুয়েল, আরিফ, নাসির, মো. আজাদ। বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যতরিকুল ইসলাম, ব্যাবিরস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগরবিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিনসুলতানা প্রমুখ।