স্টাফ রিপোর্টার: কোন পদ্ধতিতে নূর হোসেনকে ফেরত চায় তা জানতে চেয়েছেভারত। বলেছে, নূর হোসেনকে কিভাবে ফেরত নিতে চাও- এ বিষয়ে তোমাদের কোনো মতামতথাকলে জানাও। আমরাও সংশ্লিষ্ট আইনকানুন খতিয়ে দেখছি। সংশ্লিষ্ট একাধিকসূত্রে জানা গেছে, নূর হোসেন বিষয়ে গতকাল বিকেলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকেএকটি চিঠি বাংলাদেশ সরকারের কাছে পৌঁছেছে। ওই চিঠিতে নূর হোসেন গ্রেফতারথাকার বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করা হয়। একই সাথে পদ্ধতি জানতে চাওয়া হয়। এরআগে গত বুধবার ভারত সরকারের পাঠানো নোট ভারবাল (আনুষ্ঠানিক চিঠি) বাংলাদেশসরকার হাতে পায়। ওই চিঠিতে নূর হোসেনের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকারেরআনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার পর পরই কাজ শুরু করে দেয় সরকার। নারায়ণগঞ্জের এসপিঅফিস ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে নূর হোসেন সম্পর্কে আরও তথ্য চেয়েপাঠানো হয়। একই দিন রাতে সেভেন মার্ডার মামলার কপি এবং তদন্ত কমিটিররিপোর্ট স্ট্যাম্পে ইংরেজি করে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। তাই তথ্য চাওয়া মাত্র ওই সব কপি পাঠানো হয়।ওদিকে ১৬ই জুন নূর হোসেনকে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম চিঠিপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মারফত ভারত সরকারের কাছে পাঠানো হয়। এটি ছিলো ভারতসরকারের কাছে প্রথম অনুরোধপত্র। এরপর থেকেই চলছে চিঠি চালাচালি। এর আগে গত২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমারসরকারসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার পর নূর হোসেনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলে তিনি তাঅস্বীকার করেন। পালিয়ে যান ভারতে। নূর হোসেন সীমান্ত অতিক্রম করেছেন বলেনিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহায়তা চায় পুলিশ, সীমান্তেও জারি করা হয় সতর্কতা। এর মধ্যেই গত ১৪ই জুন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বাগুইহাটিরএকটি বাড়ি থেকে নূর হোসেনকে গ্রেফতারের কথা জানায়। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশএবং অস্ত্র বহনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাসহ অভিযোগ দায়ের করেপশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। গত ১৫ই জুন তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডেও নেয়া হয়। এমনঅবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশ-ভারত চিঠি চালাচালি হচ্ছে। চিঠি চালাচালি একটিপর্যায়ে এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নূর হোসেনকে নিয়ে দু দেশের মধ্যে চিঠিচালাচালিতে একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে।