স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ-২০১৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়াস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর খুলনা রেঞ্জের পরিচালক আকবর আলী পিএএম। এবারের স্লোগান ছিলো শান্তি,শৃঙ্খলা,উন্নয়ন,নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট (চলতি দায়িত্ব) গোলাম মোহাম্মদ মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কোহিনুর ইসলাম ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক রেজাউল করিম। এ সময় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট সদন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আগামী ১ মাসের মধ্যে আনসার বাহিনীতে ১ হাজার লোক নিয়োগ করা হবে। সদস্যদের উন্নয়নে গ্রামভিত্তিক ট্রেনিং দেয়া হবে। সদস্যদের সন্তানদের জন্য পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া,দায়িত্বপালনকালে অথবা স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করলে সদস্যদের পাঁচ লাখ টাকা ও ইন্স্যুরেন্স বাবদ পাঁচ লাখ টাকা মোট দশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেয়া হবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন,চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় সহজেই মাদক চোরাচালান হয়ে থাকে। মাদকদ্রব্য সহজলভ্যচোরাচালান হলেও আমাদের লোকালয়ে আসতে না পারে সেজন্য আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা যদি প্রশাসনকে সহযোগিতা করেন তাহলে মাদকব্যবসা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা গাংনী ইউনিয়ন দলপতি সিরাজুল ইসলাম কোরআন তেলাওয়াত করেন। প্রতিবেদন পাঠ করেনদামুড়হুদা ইউনিয়ন দলপতি রাশিদা খাতুন ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন দলপতি আব্দুল হান্নান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন,মুক্তিযোদ্ধা আনসার কমান্ডার আবুল কাশেম। উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান অতিথি খুলনা রেঞ্জের পরিচালক আকবর আলী (পিএএম)। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেনসদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা কবির আজাদ হোসাইন।শেষে দক্ষ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নারী ও পুরুষ সদস্যদের মাঝে ১২টি বাইসাইকেল ও ৯টি ছাতা দেয়া হয়।