আলমডাঙ্গার পল্লি খাসকররা এলাকায় মোবাইলফোনে গণহারে চাঁদাদাবি

 

শিশু-কিশোররাও খুনের হুমকি দিয়ে করছে চাঁদাবাজি!

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার পল্লি খাসকররাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় টিন এজাররা মোবাইলফোনে চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। খুনের হুমকি দিয়ে গণহারে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এরই মাঝে রায়সা শড়াতলাপাড়ার কিশোর সুলতানের মোবাইলফোনে হুমকির গোমর ফাঁস হয়েছে। সে যার নাম বলেছে তার বয়সও ১৫ বছরের নিচে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, দীর্ঘ প্রায় দু মাস ধরে খাসকররার রায়সা শানবান্দাপাড়ার কাঠব্যবসায়ী মজিবর রহমান মজিদের নিকট দু লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদার দাবিতে হুমকি ধামকির মুখে মজিদ বাড়িও ছাড়ে। আতঙ্কের প্রহর গুণতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে চাঁদার দাবিতে হুমকি দাতার পরিচয় জানাজানি হয় কাকতালীয়ভাবে।

মজিদ জানিয়েছেন, মাঝে মাঝেই মোবাইলফোনে চাঁদা দাবি করা হয়। হুমকি দেয়া হয়। হুমকিদাতার মোবাইলফোন বন্ধ থাকে। গত ৯ জুন মোবাইলে কলব্যাক করতেই নারী কণ্ঠ পাওয়া যায়। মোবাইলফোনটি কার? কোথায় এটা? এসব প্রশ্নের সরল জবাব দেন রায়সা শড়াতলাপাড়ার শাহাবুলের স্ত্রী। মোবাইলফোনটি তারই কিশোর ছেলে সুলতান ব্যবহার করে। সুলতানই কী তাহলে চাঁদার দাবিতে হুমকি দিয়ে আসছে? এ নিয়ে গ্রামে সালিসের আয়োজন করা হয়। অভিযুক্ত কিশোর হওয়ায় বিষয়টি কেউ কেউ শিথিল দৃষ্টিতে দেখলেও পুলিশে জানানো হয়। পুলিশ রহস্যজনক কারণে বিষয়টি নিয়ে বেশি দূর হাঁটেনি। ঘাটাঘাটিও করেনি। তবে সুলতানের সহযোগী হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে তার বাড়ি একই গ্রামের বাজারপাড়ায়। তার নাম আব্বাস। তারও বয়স ১৫ বছরের নিচে। এরাই কী তাহলে এলাকায় মোবাইলফোনে গণহারে চাঁদাদাবি করছে? জবাব খুঁজতে পুলিশি তৎপরতার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।