স্টাফ রিপোর্টার:হারিস সেফেরোভিচের শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয় জয়পেয়েছে সুইজারল্যান্ড। ইকুয়েডরের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে জিতেআত্মবিশ্বাসের সাথে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে তারা।সুইসদের সমতায়ফিরিয়েছিলেন আদমির মেহমেদি। ইকুয়েডরকে এগিয়ে দেন এনের ভালেন্সিয়ার। গতকালরোববার ব্রাজিলিয়ারস্তাদিও নাসিওনালে শুরু থেকেই প্রতিশ্রুত আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে সুইসরা। বল দখলেওপ্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে ছিলো তারা। কিন্তু প্রথম সাফল্য লুফে নেয় ইকুয়েডর।ম্যাচের ধারারবিপরীতে ২২তম মিনিটে এনের ভালেন্সিয়ার গোলে এগিয়ে যায় লাতিন আমেরিকার দেশটি। বাঁ দিকথেকে ওয়াল্টার আইওভির নেয়া বাঁকানো এক ফ্রিকিকে ছয় গজ দূর থেকে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেনফরোয়ার্ড ভালেন্সিয়া।জাতীয় দলেরহয়ে ২৫ বছর বয়সী ভালেন্সিয়ার এটা টানা পঞ্চম গোল।ওই গোলের পরআরো বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সুইজারল্যান্ড। বায়ার্ন মিউনিখের মিডফিল্ডার জেরদান শাচিরিরনেতৃত্বে প্রথমার্ধের পুরোটা সময় জুড়ে আক্রমণচালায় তারা; কিন্তু ডি বক্সের সামনে গিয়ে বারবারই ছন্দ হারিয়ে ফেলছিলো দলটি।৩৫তম মিনিটেপ্রথমার্ধের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পায় সুইজারল্যান্ড। কিন্তু ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়াশাচিরির জোরালো শটটি ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক।তবে দ্বিতীয়ার্ধেরশুরুতে আর হতাশ হতে হয়নি ইউরোপের দলটিকে। ৪৭তম মিনিটে রিকার্দো রদ্রিগেসের কর্নারেছয় গজ দূর থেকে হেড করে দলকে সমতায় ফেরান আদমির মেহমেদি।গোলটির এক মিনিটআগেই মেহমেদিকে বদলি হিসেবে মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ ওটমার হিটজফেল্ড।এরপর আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণে লড়াইটা দারুণ জমে ওঠে। ৭১তম মিনিটে একবার বল জালেও জড়ান ফরোয়ার্ড ইয়োসিপ দারমিচকিন্তু তার প্রচেষ্টাটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।এরপর হঠাৎ করেইদু দল এলোমেলো ফুটবল খেলতে শুরু করে। তবে ইনজুরি সময়ে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিলো ইকুয়েডর।কিন্তু তারা সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে পাল্টা আক্রমণে থেকে গোল করে জয় নিশ্চিতকরেন সেফেরোভিচ।