দর্শনা অফিস: কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের বিরোধী সংগঠনগুলো এখন এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি দাবি পূরণের লক্ষ্যে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। শ্রমিক নেতাদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কেরুজ চিনিকলের শ্রমিক সংগঠনেরগুলোর মধ্যে সূর্যসেনা শ্রমজীবী সংগঠনের সভাপতি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, মাসুদ সংগঠনের কর্ণধর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান সংগঠনের কর্ণধর সাবেক সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সদ্য চাকরিচ্যুত সভাপতি আজিজুল হকের ছেলে আজিজুল সংগঠনের পক্ষে ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ স্বাক্ষরিত কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থনা পরিচালক সুদর্শন মল্লিক বরাবর দাবিনামায় বলা হয়েছে, গত ২৫ আগস্ট প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞাপনটি সংশোধনের করতে হবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কেরুজ ডিস্টিলারি বিভাগের জন্য প্রার্থিত ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং ক্রমিকগুলো জাতীয় মজুরি কমিশনের ২০০৫ সালে গৃহীত সংশোধনী মজুরি কাঠামোর ১ নং গ্রেডের পদ হওয়া সত্ত্বেও পূর্বের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে অভিজ্ঞতা থাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল নিয়োগ/নিয়োজন বিজ্ঞপ্তিতে একই গ্রেডের ১ নং অন্তর্ভুক্ত পদের জন্য কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়েছিলো। অথচ ২৫ আগস্ট প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ১ নং গ্রেডে অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করা হয়নি। বেতন ও মজুরি কমিশনভুক্ত স্থায়ী ও মরসুমি পদের বিপরীতে যে সকল শ্রমিক-কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক হিসেবে কর্মরত আছে, তাদেরকে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। একটি তুচ্ছ কারণে সৃষ্টি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিলের ডিস্টিলারি বিভাগের চাকুরিচ্যুত চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের চাকরিতে পুর্নবহাল করতে হবে। তাছাড়া কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের চলমান কমিটির বর্তমানে চাকরিচ্যুত সভাপতি আজিজুল হকসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এ দাবিনামাটি গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালনক সুদর্শন মল্লিকের দপ্তরে পেশ করা হয়েছে বলে স্বাক্ষরিত নেতৃবৃন্দ জানালেও এখনো হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন সুদর্শন মল্লিক।
এদিকে চিনিকলের নিয়োগসহ বিভিন্ন কারণে কয়েকদিন আগে সূর্যসেনা শ্রমজীবী সংগঠনে অনুষ্ঠিত মতিবিনিময়সভাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে সংগঠনের কর্ণধর হাফিজুল ইসলাম হাফিজকে। চিনিকলের শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের মধ্যে শুরু হয়েছে কাদা ছোঁড়াছুড়ি। একে ওপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। এতে দিন দিন ঘোলাটে হচ্ছে পরিস্থিতি। ফলে মিল আঙিনায় বাড়ছে শ্রমিক অন্তোষ। এলাকার অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি কেরুজ চিনিকলটি রক্ষায় সৃষ্ট সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা কামনা করেছে সচেতনমহল।