শতবছরের বত্যয় ঘটিয়ে আজ উদ্বোধন
নজরুল ইসলাম: পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে শত বছরের নিয়মের বত্যয় ঘটিয়ে ৭ দিন আগেই শুরু হতে যাচ্ছে এতোদা অঞ্চলের সর্ববৃহত ঐতিহ্যবাহী তিতুদহের গড়াইটুপি মেটেরি মেলা। মেলার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনোদন আর কেনাকাটার বিভিন্ন পসরত আর নানা রঙ-বেরঙে সাজানো হয়েছে মেলা ও এর আশপাশ এলাকা। দেশের ৪৫টি জেলার মেলাপ্রেমী মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য দোকান নিয়ে এসেছে এ মেলাতে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সকাল ৯টায় উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু করবে এ মেলা। সরকার ১০ শতক জমি লিজ দিয়ে এরই মাঝে সরকারি কোষাগারে তুলে নিয়েছেন ১১ লাখ ১১ হাজার ২শ টাকা। সামান্য জমি থেকে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় করলেও মেলার উন্নয়নে ব্যয় করেনি একটি টাকাও। ফলে এলাকাবাসীর দাবি বারবার হয়েছে উপেক্ষিত।
জানাগেছে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জেলার একমাত্র ইতিহাস আর ঐতিহ্যবাহী এবং সংস্কৃতির সাক্ষী শত বছরের গড়াইটুপি মেলার কিছুটা ছন্দপতন ঘটিয়ে এ বছর ৭দিন আগেই অর্থাত আজ রোববার সকাল ৯টায় উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ মেলার। মেলা বাঙালি জাতির একটি লোকজ ঐতিহ্য। মেলা উপলক্ষে বহু লোকের সমাগম ঘটে সেখানে, এটি মূলত গ্রামের মানুষের শিল্প ও সংস্কৃতির অভিব্যক্তির বহির্প্রকাশ। মেলার স্থান মূলত মানুষের আনন্দ-উল্লাস এবং চিত্তবিনোদনের অন্যতম বাহন। বিভিন্ন জেলার লোকজনের সমাগম ঘটে মেলায়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপির অম্রবতির এ মেলা কবে, কখন, কীভাবে শুরু হয়েছিলো তা সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে নাপারলেও প্রবীণজনেরা জানান, শত বছর ধরে কালের সাক্ষী হয়ে ৭ আষাঢ় শুরু হয় এ মেলা। রমজান মাস সন্নিকটে হওয়ায় এবছর ৭ দিন আগেই আয়োজক কমিটি অনুমোধন সাপেক্ষে শুরু করছে এ মেলা। মেলাকে আকর্ষণীয় করতে মেলার মূল জায়গাসহ এর আশপাশ এলাকা সেজে অপরূপ সাজে। রাত পোয়ালেই উদ্বোধন হওয়ার কারণে ইতোমধ্যে আয়োজক কমিটি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, মেলা কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপিচেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ছাবদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন।বিশেষ অতিথি থাকবেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালেহউদ্দিন আহম্মেদ, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল আমিন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সী প্রমুখ।
মেলানিয়ে অতীতে অনেক কথা শোনা গেলেও মেলা শুরুনিয়ে বিভিন্ন জনেরা বিভিন্ন মতপ্রকাশ করে থাকে। মূলত খাজা মালিক-উল-গাউস (র.) মাজারকে কেন্দ্র করে মানুষের মনবাসনা পূরণ উপলক্ষে মানুষের সমাগমস্থল আজ মেলায় রূপ নিয়েছে। মেলার এস্থানটিকে কেউ মোকামতলার মেলা, ছোট মেটেরি, ছোটমেটেয়ারি, আমাবতির কামাই, আম্রবতী মেলা, অম্রাবুচি মেলা নামে উল্লেখ করে থাকে। মেলার ঠিকাদারি পেয়েছেন সরোজগঞ্জ এলাকার মানিক এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন শুকুর মিয়া। সংস্কৃতির নামে যেন অপসংস্কৃতির চর্চা না হয় সে দিকটির প্রতি নজর রাখার জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।