মাথাভাঙ্গা মনিটর: গোলবন্যায় বিধ্বস্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। স্পেনকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে মধুরপ্রতিশোধ নিয়ে উল্লাস নেদারল্যান্ডস শিবিরে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতেসালভাদরে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের৫-১ গোলে হারিয়ে চার বছর আগের ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে ডাচরা। ২০১০বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা ঘরেতোলে জাভি-ইনিয়েস্তরা। রোবেনের একটি মিস ডাচদের হতাশায় ডুবায়। তবে এবারআর সেই ভুল করেননি বায়ার্ন মিউনিখের এ তারকা স্টাইকার।স্পেন-নেদারল্যান্ডের এর আগের ৯ খেলায় গোল হয়েছিলো ২৩টি। স্পেন করেছিলো ১৩টি।নেদারল্যান্ড ১০টি। কিন্তু সালভাদরে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচেগোল হল ছয়টি। যার পাঁচটিই দিল নেদারল্যান্ড। আর বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নস্পেনকে ডোবাল চরমতম লজ্জা।গত শুক্রবার রাতে ভ্যান পার্সি ও রোবেনের জোড়াগোলে ৮০ মিনিটেই পাঁচ গোল দেয় নেদারল্যান্ডস। গোলের ক্ষুধা নিয়ে মাঠে নামাডাচ স্ট্রাইকার পার্সি ও রোবেন অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন। স্পেনেররক্ষণভাগ নড়বড়ে হয়ে যায় এ দুই স্ট্রাইকারের আক্রমণে। বিশ্বকাপের প্রথমহাইভোল্টেজ ম্যাচে ভ্যান পার্সি ও আরিয়েন রোবেনের জোড়া গোলে বিধ্বস্ত হয়বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। ডাচ খেলোয়াড়দের একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়েওঠেন স্পেন গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস।খেলার ২৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টিথেকে গোল একটি গোলই পায় স্পেন। দিয়েগো কস্তাকে ডিবক্সের মধ্যে ফেলে দেনডাচ ডিফেন্ডার স্টেফান ভ্রিজ। পেনাল্টি থেকে গোল তুলে নেন এলেনসো। এগিয়েযায় স্পেন। এরপরেই শুরু হয় রোবেন ও ফন পার্সির জাদু। ৪৪ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে তুলে দেয়া একটি বলে অসাধারণভাবে মাথা ছুয়ে দেন পার্সি। ২০ গজ দূরথেকে হেড করা বল ক্যাসিয়াসের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায়। প্রথমার্ধে সমতানিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য খুব একটা বেগ পোহাতেহয়নি নেদারল্যান্ডসকে। ৫৩ মিনিটের মাথায় একটি ভাসা বলকে স্পেন ডিবক্সেরমধ্যে দারুণভাবে রিসিভ করেন রোবেন। পাশে থাকা পিকে ও রামোসকে ফাঁকি দিয়েবাম পায়ের আলতো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। এদিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ৬৪মিনিটের মাথায় আবার গোল। এবার ক্যাসিয়াসের জালে বল জড়িয়ে দেন স্টেফেনভ্রিজ। কর্নার এলাকা থেকে নেয়া একটি ফ্রি কিকের বল সমস্ত শরীর জালে ঠেলেনভ্রিজ। ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।আবার ফন পার্সির পালা। ৭২মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফন পার্সি। ৮০ মিনিটে নিজেরদ্বিতীয় গোল তুলে নেন রোবেন।